হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তিন কেজি ৮০ গ্রাম কোকেনসহ তায়েস স্ট্যেজো জুলিয়ান (৫১) নামে স্পেনের এক নাগরিককে আটক করেছেন মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ও কাস্টমসের প্রিভেনটিভ দল। জব্দ করা কোকেনের মূল্য আনুমানিক ৫০ কোটি টাকা।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ঢাকা মহানগরীর সহকারী পরিচালক (এডি) খুরশিদ আলম বাংলানিউজকে জানান, আনুমানিক তিন কেজি কোকেনসহ আটক স্পেনের নাগরিক দুবাই এয়ারলাইন্সের ইকে-৫৮৬ ফ্লাইটে করে শাহজালাল বিমানবন্দরে আসেন।
তিনি আরও জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আগে থেকেই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের অপারেশন শাখার পরিচালক সৈয়দ তৌফিক উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে সদস্যরা অবস্থান নেন বিমানবন্দরে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ঢাকা মহানগরীর পরিচালক মূকুল জ্যোতি চাকমা বাংলানিউজকে বলেন, আন্তর্জাতিক মাদক বাজারে কোকেনের মূল্য বিভিন্ন দেশ অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন হয়। স্পেনের নাগরিক তায়েস স্ট্যেজো জুলিয়ানের কাছ থেকে জব্দ তরা তিন কেজি ৮০ গ্রাম কোকেনের মূল্য বাংলাদেশি টাকায় আনুমানিক ৫০ কোটি টাকা ধরা হয়েছে।
এদিকে, অভিযানে সহযোগী হিসেবে কাজ করা কাস্টমস প্রিভেনটিভ দলের যুগ্ম কমিশনার সোহেল রহমান বাংলানিউজকে জানান, জব্দ করা কোকেন ওই বিদেশি নাগরিকের লাগেজের ভিতরের কভারের অভ্যন্তরে লুকায়িত ছিলো।
তিনি আরও জানান, আটক স্পেনের নাগরিক সন্ধ্যা ৬টায় শাহজালাল বিমানবন্দরে নামেন। তিনি দুবাই থেকে এসেছেন। কোকেন চোরাচালানের অপরাধে তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে, একই বিমানবন্দরে প্রায় দুই কেজি কোকেনসহ জেইম বার্গলে গোমেজ (৫০) নামে এক পেরু নাগরিককে আটক করেছিলো মাদকদ্রব্যে নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর।
ওই সময় উদ্ধার হওয়া কোকেনের বাজার মূল্য ছিলো প্রায় ৫২ কোটি টাকা। জেইমের পরনে থাকা জ্যাকেট কেটে তার ভেতর থেকে প্রায় দুই কেজি কোকেন উদ্ধার করা হয়।
তিনি এমিরেটস এয়ারলাইনসের ইকে-৫৮২ নম্বর ফ্লাইটে করে ঢাকা আসেন। তাকে সহায়তার অভিযোগে সালাউদ্দিন ও মোহাম্মদ সালাম নামে সিভিল এভিয়েশনের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছিলো।
ব্রাজিলের সাওপাওলো থেকে জেইম বার্গলে গোমেজের যাওয়ার কথা ছিলো ভারতে। কিন্তু রুট পরিবর্তন করে তিনি ঢাকায় আসেন।
গোমেজকে সহায়তার অভিযোগে সিভিল এভিয়েশন কর্মী সালাউদ্দিন ও মোহাম্মদ সালামকে গ্রেফতার করা হয়েছিলো।
এছাড়াও এর আগে চলতি বছরের জুন মাসে চট্টগ্রাম বন্দরে তেলের ড্রামে তরল কোকেন আটকের ঘটনা ঘটে। কাস্টমসের শুল্ক ও গোয়েন্দা বিভাগ ওই অভিযানটি চালিয়েছিলো।
Discussion about this post