শেরপুরে পুলিশ আটকের পর বিশ্বজিৎ সরকার নামে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), দুই উপ-পরিদর্শকসহ (এসআই) ১২ জনকে আসামি করে আদালতে একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।
এ ঘটনার প্রায় আড়াই মাস পর বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-২ নালিতাবাড়ী উপজেলা আদালতে নিহতের ভাই নিত্যানন্দ সরকার সুব্রত বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন।
এরপর আদালতের বিচারক ঊর্ধ্বতন বিচারিক হাকিম হুমায়ুন কবীর মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ময়মনসিংহকে ২৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মমতাজ উদ্দিন মুন্না বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মামলা দায়েরের সময় আদালতে বাদীপক্ষের আইনগত সহায়তা করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, ময়মনসিংহ বিভাগের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম চুন্নু।
২০১৭ সালের ১ অক্টোবর রাত ৭টার দিকে পুলিশ নালিতাবাড়ী শহরের কাচারিপাড়া এলাকার কাঠমিস্ত্রী বিশ্বজিৎ সরকারকে (২০) গাঁজা রাখার অভিযোগে পুলিশ আটকের পর থানায় নিয়ে যায়। পরে রাত ১০টার দিকে তার দুলাভাইয়ের জিম্মায় বিশ্বজিৎকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর রাত ১টার দিকে বিশ্বজিৎ অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। তাকে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরদিন পুলিশের পিটুনিতে বিশ্বজিৎ’র মৃত্যু হয়েছে দাবি করে তার মরদেহ নিয়ে এলাকাবাসী বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। সে সময় এলাকাবাসী পুলিশের নালিতাবাড়ী সার্কেলের অফিস কক্ষ ভাঙচুর করে।
Discussion about this post