হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামে ৪ শিশু হত্যা মামলায় ৫ আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া জেলা জজ আদালতে ২ আসামির মিসকেস থাকায় ওই মামলার চার্জশিটও গ্রহণ করেননি আদালত।
মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) দুপুর ১টায় হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউছার আলম এ নির্দেশ দেন। আসামিরা হলেন- জুয়েল, রুবেল, শাহেদ, সালেহ আহমেদ ও বশির।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী ত্রিলোক কান্তি চৌধুরী বিজন জানান, মঙ্গলবার ওই মামলায় চার্জশিট গ্রহণের পূর্ব নির্ধারিত তারিখ ছিল। একই দিন ৫ আসামির জামিন আবেদন করেন বিবাদীপক্ষের আইনজীবীগণ।
এদিকে, ওই মামলার ২ আসামি আব্দুল আলী ওরফে বাগল ও হাবিবুর রহমান আরজু ইতোপূর্বে জামিন আবেদন করে বিজ্ঞ জেলা জজ আদালতে মিসকেস করেন।
মঙ্গলবার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মামলার শুনানিকালে জেলা জজ আদালতে ২ আসামির মিসকেস থাকায় ওই ৫ আসামির জামিন নামঞ্জুর এবং মামলার চার্জশিট গ্রহণ করেননি।
বিজ্ঞ বিচারক চার্জশিট ও জামিন শুনানির জন্য আগামী ২৫ মে মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন। আদালতে বিবাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন তকদির মো. বেনজির জনাব।
এর আগে ৫ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোকতাদির হোসেন জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম (সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট) মো. কাউছার আলমের আদালতে ৯ জনকে আসামি করে এ অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন।
নিহত শিশুরা হলো, সুন্দ্রাটিকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র জাকারিয়া শুভ (৮), প্রথম শ্রেণির ছাত্র মনির মিয়া (৭), চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র তাজেল মিয়া (১০) ও সুন্দ্রাটিকি মাদ্রাসার ছাত্র ইসমাইল মিয়া (১০)। এদের মধ্যে প্রথম ৩জন সম্পর্কে আপন চাচাতো ভাই। আর ইসমাইল তাদের প্রতিবেশী।
১২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ৪ শিশুকে অপহরণ করা হয়। পাঁচদিন পর ১৭ ফেব্রুয়ারি সকালে গ্রাম থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরের ইছারবিল খালের পাশে বালুমিশ্রিত মাটির নিচে ওই চার শিশুর মরদেহ পাওয়া যায়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শিশু মনির, শুভ ও তাজেলের বাবার সঙ্গে একটি বরই গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের পঞ্চায়েত আব্দুল আলী বাগলের বিরোধ ছিল। এর জের ধরে ওই চার শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়।
Discussion about this post