একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলার দ্রুত বিচার দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ৫০ হাজার মানুষের গণজমায়েতের ঘোষণা দিয়েছে ১৪ দল। একইসঙ্গে চট্টগ্রামে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচীও ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন এই জোট।
মহিউদ্দিন বলেন, কোরবানির ঈদের পর ৫০ হাজার মানুষ নিয়ে ঢাকায় যাব। ঢাকায় প্রেসক্লাবের সামনে গণজমায়েত হবে। চট্টগ্রাম থেকে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে ঢাকায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দেব।
‘একুশে আগস্ট আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রাণে মারতে চেয়েছিল খুনীরা। আল্লাহর রহমতে বেঁচে গেছেন। সেই খুনীদের বিচার এখনও শেষ হয়নি। চট্টগ্রামবাসীর মনে অনেক ক্ষোভ। সেই ক্ষোভ সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে ঢাকায় যাব। ডিসেম্বরের মধ্যে খুনীদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। ’ বলেন মহিউদ্দিন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে খুন করা হয়েছিল। সেই খুনীরা ২১ বছর দেশের মাটিতে বুক ফুলিয়ে ছিল। শেখ হাসিনাকে খুন করেও তারা ভেবেছিল পার পাবে। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা পার পায়নি। শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টাকারীরাও পার পেতে পারে না।
মহিউদ্দিন বলেন, সেদিন যারা গ্রেনেড হামলা করেছিল, সেই খুনী জঙ্গিদের খালেদা জিয়া তোষণ করতেন। খালেদা জিয়া এখনও জঙ্গিদের তোষণ করেন। তিনি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে, দেশের বিরুদ্ধে নানা ধরনের চক্রান্ত করছেন।
সাংসদদের উদ্দেশ্যে মহিউদ্দিন বলেন, আপনারা নির্বাচিত হয়েছেন, সংসদে আছেন। আপনারা হয়ত জনগণের ক্ষোভ বুঝতে পারছেন না। আমাদের নেত্রীকে খুন করতে চেয়েছিল। নেত্রী না থাকলে দল-দেশ কি থাকবে? আপনারা কি সংসদে যেতে পারবেন? সংসদের ভেতরে একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলার বিচার দ্রুত করার দাবি তুলুন।
তিনি বলেন, অনেকে বড় বড় দায়িত্ব পেয়ে বড় বড় কথা বলছেন। কিন্তু দায়িত্ব পালন করছেন না। ভবিষ্যতে আর সহ্য করা হবেনা।
নগর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু হানিফ, জাসদের নগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন বাবুল, গণতন্ত্রী পার্টির নেতা তাজুর মুল্লুক ও স্বপন সেন, সাম্যবাদী দলের নেতা অমূল্য বড়ুয়া, ন্যাপ নেতা আলী আহমদ নাজির, গণআজাদী লীগের নজরুল ইসলাম আশরাফী, নগর মহিলা লীগের সভানেত্রী হাসিনা মহিউদ্দিন, সাংস্কৃতিক সংগঠক শেখ শহীদুল আনোয়ার, নগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকা।
মানববন্ধনে নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈমউদ্দিন ও সুনীল সরকার, মুক্তিযোদ্ধা অমল মিত্র, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিক আদনান, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, উপ দপ্তর সম্পাদক ও কাউন্সিলর জহরলাল হাজারী, নগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ মাহমুদ, ন্যাপ নেতা মিটুল দাশগুপ্ত, নগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এম আর আজিম ও সাধারণ সম্পাদক মো.সালাহউদ্দিন, নগর ছাত্রলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক আরশাদুল আলম বাচ্চু, নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু ও সাধারণ সম্পাদক নূরুল আজিম রণি, বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদ, নগর শাখার সভাপতি শেখ মহিউদ্দিন বাবুসহ ১৪ দল ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রবল বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সংগঠকরা ব্যানার নিয়ে মানববন্ধনে আসেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ওমরগণি এমইএস কলেজ, সরকারি সিটি কলেজ, ইসলামিয়া কলেজ, কমার্স কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা কর্মসূচীতে যোগ দেন।
প্রেসক্লাব থেকে লালদিঘির পাড় পর্যন্ত মানববন্ধনের ঘোষণা দেয়া হলেও বৃষ্টির কারণে চেরাগি পাহাড় মোড়ের মধ্যেই তা সীমাবদ্ধ ছিল।
মানববন্ধনে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন উপস্থিত থাকবেন বলে ঘোষণা দেয়া হলেও শেষ পর্যন্ত মেয়র আসেননি। কর্মসূচীতে দেখা যায়নি মেয়রের অনুসারী নেতাকর্মীদেরও।
Discussion about this post