স্কুলছাত্রীদের ইভটিজিংয়ে অভিযুক্ত বটিয়াঘাটার খারাবাদ বাইনতলা ক্যাম্পের পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রধান খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি সার্কেল) মো. সজীব খান এই সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন শনিবার দাখিল করেছেন। তদন্ত কমিটি গত বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) খারাবাদ বাইনতলা পুলিশ ক্যাম্প এলাকা পরিদর্শন করে ৩০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এ প্রতিবেদন দাখিল করেছে। জানা গেছে, খুলনা জেলা পুলিশ নিজাম উল হক মোল্লা ঢাকায় অবস্থান করার কারণে পুলিশ সদস্যদের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।শাস্তির সুপারিশের তালিকায় থাকা পুলিশ সদস্যরা হলেন- নায়েক মো. জাহিদুল ইসলাম, কনস্টেবল মো. নাঈমুল ইসলাম, মো. মামুন কবির, রিয়াজ হোসেন ও আবির হোসেন।
খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মো. নাঈমুল হক বলেন, ‘তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তাই পুলিশ বাহিনীর সুনাম ও মর্যাদা রক্ষায় ওই পাঁচ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, তদন্ত কমিটি গত বৃহস্পতিবার খারাবাদ বাইনতলা পুলিশ ক্যাম্প এলাকা পরিদর্শনে যান। কমিটি সেখানে খারাবাদ বাইনতলা স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির সাত জন ছাত্রী, পুলিশের মারধরের শিকার নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের ছাত্র তারেক মাহমুদ ও তার বাবা মো. মুজিবর রহমান, আমীরপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জিএম মিজানুর রহমান মিলনসহ স্থানীয় ৩০ নাগরিকের সাক্ষ্য গ্রহণ করে। একইসঙ্গে তদন্ত কমিটি অভিযুক্ত পাঁচ পুলিশ সদস্যর সঙ্গেও কথা বলে।
উল্লেখ্য, গত ৯ জানুয়ারি খারাবাদ বাইনতলা স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্রীরা স্কুল থেকে পার্শ্ববর্তী কোচিং সেন্টারে যাওয়ার পথে ফাঁড়ির পাঁচ পুলিশ সদস্য ইভটিজিং করে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় দুপুরে ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা এক ছাত্রীর ভাই তারেক মাহমুদকে দোকান থেকে ধরে মারধর করে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মো. নাঈমুল হক এ ঘটনার পর ওই এলাকা পরিদর্শন করেন এবং উপস্থিত শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর জেলা পুলিশ সুপার তাৎক্ষণিক তদন্তের পর ফাঁড়ির ১২ পুলিশকেই ক্লোজড করে পুলিশ লাইনে নেয়। একইসঙ্গে নতুনভাবে ১৪ জনকে ফাঁড়িতে দায়িত্বে দেন।
Discussion about this post