ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’ ক্রমেই উপকূলের দিকে অগ্রসর হওয়ায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা-বাঁশখালীর উপকূলীয় এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন।
শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারির পর উপকূলবাসীকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
‘রোয়ানু’ মোকাবেলার প্রস্তুতি সম্পর্কে জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন বলেন, আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় আছি। ঘূর্ণিঝড়টি বাঁশখালী-আনোয়ারা উপকূল দিয়ে আঘাত হানার সম্ভাবনা আছে। তাই সেখানকার বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছে। দুপুর দুইটা থেকে মাইকিংয়ের মাধ্যমে সবাইকে সতর্ক করা হচ্ছে। এছাড়া বাঁশখালী-আনোয়ারার উপকূলীয় এলাকায় থাকা লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে আনা হয়েছে। এই দুই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তারা পুরো বিষয়টি তদারকি করছেন।
নগরীতে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু আঘাত হানার সম্ভাবনা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, নগরীতে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টিপাত হতে পারে। তবে ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানার তেমন কোন সম্ভাবনা নেই। এজন্য বাঁশখালী-আনোয়ারাকে ঘিরেই আমরা দুর্যোগ মোকাবেলার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি।
তিনি বলেন, আমরা বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে বৈঠক করেছি। আজও বৈঠকে বসবো। ঘূর্ণিঝড় বিষয়ে পরবর্তী করণীয় কী হবে সে সম্পর্কে বৈঠকে দিক নির্দেশনা দেওয়া হবে।
এদিকে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে জানিয়ে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসে দায়িত্বরত মাহমুদুল ইসলাম বলেন, রোয়ানু চট্টগ্রামের দিকেই বেশি ঝুঁকে রয়েছে। তাই চট্টগ্রামে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে। এটা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে চট্টগ্রামে হালকা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। দুপুর তিনটা পর্যন্ত চট্টগ্রামে ২৮ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত এবং মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে
Discussion about this post