আওয়ামী লীগ আয়োজিত ঐতিহাসিক ৭ মার্চের সমাবেশ নিয়ে কিছু মিডিয়া নেতিবাচকভাবে প্রচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, কিছু কিছু মিডিয়া আমাদের বিশাল জনসভাকে বিশাল বলতে লজ্জা পায়। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাপ্য প্রচারটাও করছে না। অন্যদিকে একটি দলের পক্ষে আদাজল খেয়ে নেমেছে।
‘আগামী ৭ মার্চের জনসভা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের জনসভা নয়, এটি জনগণের জনসভা। এটা স্বাধীনতাপ্রিয় মানুষের সমাবেশ। যে ভাষণ আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ বিশ্ব স্বীকৃতির প্রেক্ষাপটে খুবই গুরুত্ব বহন করছে। বিশ্ব স্বীকৃতির পর এবারই প্রথম ৭ মার্চ উদযাপন করতে যাচ্ছি আমরা।
আজ মঙ্গলবার ৭ মার্চের জনসভা উপলক্ষে প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ডিএসসিসি মেয়র সাঈদ খোকনের সভাপতিত্বে প্রস্তুতি সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ (দক্ষিণ) সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদসহ অন্য নেতাকর্মীরা।
কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু আনুষ্ঠানিকভাবে ২৫ মার্চ রাত সাড়ে ১২টায় স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতার সত্যিকারের ঘোষণা ৭ মার্চ হয়ে যায়। জিয়াউর রহমান নিজেই স্বীকার করেছিলেন ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ঘোষণা আমাদের জন্য ছিল স্বাধীনতার গ্রিন সিগন্যাল। এখন তাদের দল ৭ মার্চ অস্বীকার করে। বিশ্ব স্বীকৃতির পরেও গুরুত্বহীনভাবে দেখে। আর তাদের হয়ে যখন কেউ সমালোচনায় অবতীর্ণ হয় তখন আমাদের বুঝতে হবে পর্দার অন্তরালে অনেক কিছুই ঘটছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতিসংঘে ভাষণ দিয়ে ফেরার পর জনস্বার্থে, জনদুর্ভোগ এড়াতে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে সংবর্ধনা দিয়েছিলাম শনিবার। এবার ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীও ছুটির দিনে করেছি। আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে যাইনি। কিন্তু ১৫ আগস্ট, ১৭ মার্চ, ৭ মার্চ, ১৬ ডিসেম্বর, ২৬ মার্চ এই দিবসের আনুষ্ঠানিকতা আমরা কি করে অন্য দিন করবো।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি সংবাদপত্রের সঙ্গে বসেছি। আমি বলেছি আমাদের যা প্রাপ্য সেটাই চাই। এখনো সেই কথাই আবার বলছি, প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার যেটা প্রাপ্য সেটা থেকে সরকারপ্রধানকে বারবার বঞ্চিত করা হয়েছে। বারবার তার (প্রধানমন্ত্রী) সঙ্গে যে আচারণ করা হচ্ছে এটা বস্তনিষ্ঠ সাংবাদিকতার অংশ নয়। তবে সব মিডিয়া নয়, কিছু কিছু মিডিয়া।
তিনি বলেন, মিডিয়ার সঙ্গে আমরা যুদ্ধ করতে চাই না, লড়াই করতে চাই না, ঝগড়া করতে চাই না। গঠণমূলক সমালোচনা আমরা শুনবো। মিডিয়া আমাদের প্রতিপক্ষ নয়, বন্ধু। সমালোচনা থেকে আমরা শিখবো, যদি সঠিক সমালোচনা হয়। আমাদের বিবেকই আমাদের পীড়া দেয়। আর সেই সাহস বঙ্গবন্ধুকন্যার আছে।
৭ মার্চের সমাবেশ ঘিরে যারা দোকান, অফিস বন্ধ করে আসার অভিযোগ করে সমালোচনা করছে তাদের উদ্দেশে বলেন, যারা অফিস করেন, অফিস খোলা রাখবেন। মার্কেট বন্ধ করার প্রয়োজন নেই, মিটিং ৩টায়। কাজেই মার্কেট বন্ধ করে, অফিস বন্ধ করে আসতে হবে যে অপপ্রচার হচ্ছে, এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত আমাদের নেই। এটা আমরা বলিনি। আগেও বলেছি যারা সমাবেশে আসবেন রাস্তার একপাশ খোলা রাখবেন, যেন জনগণ চলাচল করতে পারে, যানবাহন চলাচল করতে পারে।
Discussion about this post