বিনা টিকিটে রেলভ্রমণ বন্ধ ও আয় বৃদ্ধির লক্ষে দীর্ঘ ৮ বছর পর পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের উদ্যোগে ট্রেনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান শুরু করা হয়েছে।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক খায়রুল আলম এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মিহির কান্তি গুহ, প্রধান ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা (উপ সচিব) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ড. আব্দুল মান্নান, পাকশী রেলওয়ের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক আফজাল হোসেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পাকশী বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা মোস্তাক আহম্মেদ, পাকশী বিভাগীয় প্রকৌশলী (১) আসাদুর রহমান, পাকশী বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ ভূঁইয়া, সিআরএমবি (পাকশী) আসাউল হক, সৈয়দপুর রেলওয়ে পুলিশের (এএসপি) আহসান হাবিব, সিরাজগঞ্জ জিআরপি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল আহম্মেদ, বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিনসহ পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের বিভাগের ঊর্ধ্ধতন কর্মকর্তারা।
এদিকে, সকাল সাড়ে ১০টায় রাজশাহী থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা আন্তঃনগর সিল্কসিটি ও ঢাকা থেকে খুলনার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।
এ সময় বিনা টিকিটে ভ্রমণের দায়ে ৮১ জনকে জরিমানা ও ২৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডের আদেশ দেন উপস্থিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে বিভাগের মহাব্যবস্থাপক খায়রুল আলম সাংবাদিকদের জানান, ২০০৭ সালের অক্টোবর মাসে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের মধ্য দিয়ে রেলওয়ে বিভাগের ভ্রাম্যমাণ আদালত কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে বিনা টিকিটে ভ্রমণ বন্ধ ও আয় বৃদ্ধির লক্ষে রেলওয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
Discussion about this post