বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত-সমালোচিত বিষয় হচ্ছে শিশুর প্রতি সহিংসতা বা শিশু নির্যাতন। শিশুর প্রতি সহিংসতার খবর প্রতিনিয়তই বিবেককে নাড়া দিচ্ছে।
চলতি বছরের শুরু থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত আট মাসে খুলনায় সহিংসতার শিকার হয়েছে ১শ’ ৫ জন শিশু।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে মহানগরীর সোনাডাঙ্গা বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা সমিতির (এফপিএবি) কার্যালয়ে খুলনা শাখার আয়োজনে ইউরোপিয়ান কমিশনের অর্থায়নে ‘কমিউনিটি অ্যাকশন ফর চাইল্ড প্রটেকশন ফ্রম ভায়োলেন্স’ প্রকল্পের অধীনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মিডিয়া পার্টনারশিপ সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
প্রকল্পের ভবিষ্যৎ কার্যাবলী বিশেষত শিশু সহিংসতা সচেতনতা বিষয়ক স্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতা, অ্যাডভোকেসি ভিডিও, ট্রেনিং ও অন্যান্য শিশু বিষয়ক ঘটনাবলীর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ব্যাপক জনসচেতনতার জন্য এ সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন- সিএসিপিভি প্রকল্পের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর হালিমা খাতুন, এফপিএবি খুলনা শাখার জেলা কর্মকর্তা মো. হারুন-অর-রশিদ, এফপিএবি খুলনা শাখার অবৈতনিক সাধারণ সম্পাদক কানিজ ফাতেমা আমিন, সিএসিপিভি প্রকল্পের প্রোগ্রাম অফিসার (রিসার্চ অ্যান্ড ডাটাবেজ) আল-আমিন, ব্লাস্টের কো-অর্ডিনেটর অশোক কুমার মন্ডল, কো-অর্ডিনেটর (ফাইন্যান্স) শফিউল আলম প্রমুখ।
সভায় সভাপতিত্ব করেন এফপিএবি খুলনা শাখার অবৈতনিক কোষাধ্যক্ষ রোজ মোহাম্মদ। সঞ্চালনা করেন সিএসিপিভি প্রকল্পের ট্রেনিং অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি অফিসার সৈয়দ রবিউল ইসলাম।
আয়োজকরা বলেন, তাদের অনুসন্ধানে খুলনায় সহিংসতার শিকার ১শ’ পাঁচজন শিশুর মধ্যে ৬৬ জনকে তারা সহায়তা দিয়েছেন। একই সঙ্গে ৫৯টি বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করা হয়েছে।
সভায় বক্তারা বলেন, বর্তমান সময়ে শিশুরা বিভিন্নভাবে নির্যাতিত ও সহিংসতার শিকার হচ্ছে। যেমন- ধর্ষণ, ধর্ষণের চেষ্টা, ধর্ষণের পর হত্যা, অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়, হত্যা, নিখোঁজের পর মৃতদেহ উদ্ধার, শিশুপাচার, গৃহশ্রমিকের ওপর নির্যাতন, এসিড সন্ত্রাসের শিকার, যৌন হয়রানিসহ বিভিন্নভাবে শিশুরা সহিংসতার শিকার হচ্ছে।
অথচ শিশুর সর্বোত্তম মঙ্গলের কথা মাথায় রেখে কালে কালে বিভিন্ন ধরনের আইন, সনদ বা চুক্তি, বিভিন্ন বিধি-বিধান প্রণয়ন করা হয়েছে। এসব আইনের সঠিক বাস্তবায়ন হলে শিশুর প্রতি সহিংসতা কমে আসতো।
Discussion about this post