পিতাকে হত্যার মামলায় বিচার শুরু না হয়ে দীর্ঘ ৯ বছর ধরে কারাবাসের পর জামিন পেয়েছেন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আসামি ছালেহ আহম্মদ ওরফে কালু।
আজ বুধবার (১৯ জুলাই) হাইকোর্টের বিচারপতি আব্দুল হাকিম ও বিচারপতি এসএম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ স্ত্রীর জিম্মায় কালুর জামিন মঞ্জুর করেন।
আদালতে আসামির পক্ষে ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইডের প্যানেল আইনজীবী অ্যাডভোকেট মিন্টু কুমার মণ্ডল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হারুন অর রশিদ।
আইনজীবী মিন্টু কুমার মণ্ডল জানান, পিতাকে হত্যার মামলায় ২০০৮ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সে বিনা বিচারে জেল খাটছে। এ পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনো সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়নি। তিনি সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত (মানসিক রোগী)। এসব বিষয়ে বিবেচনায় নিয়ে আদালত তাকে জামিন দিয়েছেন।
এর আগে গত ২ জুলাই এ আসামির কোনো আত্মীয়-স্বজন আছেন কিনা তা ১৩ জুলাই কোর্টকে অবহিত করতে বলা হয়। এছাড়া তার পক্ষে কেউ জামিনদার হতে পারবে কিনা সেটিও জানাতে বলা হয়। পরে তার স্ত্রী জিম্মায় নিতে রাজি হলে আদালত শুনানি নিয়ে তার স্ত্রীর জিম্মায় জামিন দেন।
উল্লেখ্য যে, দীর্ঘ বছর ধরে বিচারের অপেক্ষায় থাকা হাজতীদের বিষয়ে সুপ্রীম কোর্ট লিগ্যাল এইড কার্যালয় প্রয়োজনীয় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। ইতিমধ্যে ১০ বছরের অধিক ৫৮ জনের বিষয়ে আদালতের নজরে আনা হয়েছে, তন্মধ্যে ১৮ জনকে জামিন ও বিভিন্ন বিচারিক আদেশ প্রদান করেছেন। বর্তমানে ৯ বছর ধরে আটক ২৬ জন হাজতীদের বিষয়ে ইতিমধ্যে আদালতের নজরে আনা হয়েছে।
Discussion about this post