যে জীবন নাড়িয়ে দিয়ে যায়, তাকে কি ভোলা যায়? যায় না। ইতিবাচক অথবা নেতিবাচক-যে কোনো এক ভাবে সে রয়ে যায় স্মৃতির পটে। আর তাই তো এখনো বহু বিতর্কিত একটি শব্দ ‘হ্যাপী’কে ভোলেননি রুবেল ও তার সতীর্থরা।
ঘটনাটি শনিবারের। মিরপুরের আকাশে তখন তীব্র রোদের আনাগোনা। ঘড়িতে দুপুর দেড়টা। ফুটবল নিয়ে মাঠে নেমে পড়লেন রিয়াদ-মুস্তাফিজসহ ১৪ জন। আছেন রুবেলও। দুটি দলে ভাগ হয়ে ফুটবল খেলার জন্য রিয়াদ সবাইকে নির্দেশ দিলেন ছেলেবেলার সেই ‘নাম পাতিয়ে’ আসতে। দুই জন করে দূরে যেয়ে ‘নাম পাতিয়ে’ আসতে হবে। তারপর দুই অধিনায়কের কাছে এসে বলতে হবে, আমারা এই এই নাম রেখেছি। সেক্ষেত্রে বলা যাবে না কার কি নাম রাখা হয়েছে। অধিনায়করা আন্দাজে বলবেন কার কী নাম।
সবাই ‘নাম পাতাতে’ দূরে গেলেন। রিয়াদ আর ইমরুল নাম ডেকে ডেকে নিজ দলে খেলোয়াড় ভেড়াচ্ছেন। এবার শফিউলকে নিয়ে আসলেন রুবেল। এর মাঝে রিয়াদের দলে পড়েছেন নাসির। ইমরুল-রিয়াদের কাছে দাঁড়ানো তিনি। রুবেল কাছে আসতেই নাসির বলে উঠলেন, এবার তো ‘হ্যা…!’ বাকী ১৩ জন হো হো করে হেসে ওঠেন। তবে রুবেলের মুখ দেখে মনে হল অতটা খুশি তিনি হননি। জোর করে হাসছেন।
এভাবে নাম পাতানো শেষ হয়। রিয়াদের দলে যান মুস্তাফিজ, শফিউল, এনামুল এবং নাসির। ইমরুলের দলে ভেড়েন, লিটন দাস, তাইজুল ইসলাম, আল আমিন, মোহাম্মদ শহীদ এবং রুবেল।
শুরু হয় খেলা। চলে ৩০ মিনিটের মতো। বাকী সময়ে ওই নামটি কেউ স্মরণ করেননি। হয়তো নতুন কোনো উপলক্ষে সে ফিরে আসবে রুবেলদের মনে!
Discussion about this post