মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় চাঞ্চল্যকর অটোচালক আয়নাল হক ও তার স্ত্রী খুকু মনি, কন্যাসহ হত্যার ঘটনায় মূল আসামি গ্রেফতার হয়েছে। মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ ও পিরোজপুর ডিবি পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অলি বিশ্বাস (৩৮) ও রাকিব বেপারী (২০) নামে দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে।
পিরোজপুর জেলা পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম শনিবার (০৮ আগস্ট) রাতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, শুক্রবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অলি বিশ্বাসকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চারজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অকপটে স্বীকার করে। পরে রাকিব বেপারীকে গ্রেফতার করা হয়। অলি বিশ্বাস উপজেলার ধানীসাফা গ্রামের মৃত. তোজাম্বর আলী বিশ্বাসের ছেলে। রাকিব একই এলাকার কাওছার বেপারীর ছেলে। তারা পেশায় অটো চালক।
পুলিশ সুপার আরো জানান, অটোচালক আয়নাল হকের ঘরে অনেক টাকা ও স্বর্ণালংকার আছে এমন সন্দেহে অলি বিশ্বাস, রাকিব বেপারী ও বাকি দুজন সিঁদ কেঁটে ঘরে প্রবেশ করে। এসময় আয়নাল হক তাদেরকে চিনে ফেলে ও বাঁচার আকুতি জানায়। চিনে ফেলার কারণে আয়নাল হক ও তার স্ত্রী খুকু মনিকে প্রথমে হত্যা করে। পরে বৈঠক করে তিন বছরের শিশু আশফিয়াকেও হত্যা করা হয়। মামলার তদন্তের স্বার্থে বাকি দুই আসামির নাম প্রকাশ করেননি পুলিশ সুপার। পুলিশ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র ও বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করেছে।
পিরোজপুর জেলা পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম বলেন, পলাতক দুই আসামিকে অচিরেই গ্রেফতার করা হবে। ঘটনার পর থেকেই মঠবাড়িয়া সার্কেলের অ্যাডিশনাল এসপি হাসান মোস্তফা স্বপনের নেতৃত্বে র্যাব, সিআইডি, পিবিআই, ডিবিসহ থানা পুলিশের ৫টি টিম মাঠে সার্বক্ষণিক কাজ করেছে।
গত শুক্রবার (৩১জুলাই) সকালে উপজেলার ধানীসাফা গ্রামের একটি বসত ঘর থেকে হাত বাঁধা অবস্থায় ঝুলন্ত অটোচালক আয়নাল (৩৫) তার স্ত্রী খুকু মনি (২৫) ও তাদের একমাত্র ৩ বছরের কন্যা শিশু আশফিয়ার লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ।
Discussion about this post