নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী বুধবার (১১ আগস্ট) থেকেই পুরোদমে হাইকোর্ট বিভাগে বিচার কাজ পরিচালিত হবে। এদিন থেকে হাইকোর্টের সকল বেঞ্চ বসবেন। তবে সকল বেঞ্চই ভার্চুয়ালি বিচার কাজ পরিচালনা করবেন।
আজ রবিবার (৮ আগস্ট) এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতির নির্দেশে সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আগামী ১১ আগস্ট হতে ‘আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার আইন-২০২০’ এবং এসংক্রান্তে জারি করা প্রাকটিস নির্দেশনা অনুসরণ করত: তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে হাইকোর্ট বিভাগের সকল বেঞ্চে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে।’ এরআগে গত ৫ আগস্ট প্রধান বিচারপতির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ফুলকোর্ট সভায় গৃহীত সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুসাওে, প্রধান বিচারপতি ৬ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগে ১২টি বেঞ্চ গঠন করেন। রবিবার থেকে এই ১২টি বেঞ্চে বিচার কাজ পরিচালিত হয়। আগামী ১২ আগস্ট পর্যন্ত এসব বেঞ্চে বিচার কাজ পরিচালনার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রবিবার বিকেলে সরকার আগামী ১১ আগস্ট থেকে প্রায় সবকিছু খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়ে আদেশ জারি করেছে। এ প্রেক্ষাপটে প্রধান বিচারপতি হাইকোর্ট বিভাগের সকল বেঞ্চ (৫২/৫৩টি) খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে গতবছর ২৫ মে থেকে ভার্চুয়াল আদালত কার্যক্রম চালু হয়। ভার্চুয়ালি আদালত কার্যক্রম চালুর শুরুর দিকে ৩৫-৩৬টি হাইকোর্ট বেঞ্চ বসে। আর করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কমে গেলে পরে প্রতিদিন নিয়মিতভাবে ৫২-৫৩টি হাইকোর্ট বেঞ্চ বসে। এসময় অর্ধেকের বেশি হাইকোর্ট বেঞ্চ ভার্চুয়ালি বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
কিন্তু দ্বিতীয় পর্যায়ে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ৫ এপ্রিল থেকে ৪টি বেঞ্চ দিয়ে হাইকোর্ট বিভাগের বিচার কাজ শুরু হয়। যা ধাপে ধাপে বাড়িয়ে ১৬টি করা হয়েছিল। কিন্তু করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সরকার কঠোর বিধিনিষেধ জারি করায় হাইকোর্ট বিভাগের বেঞ্চের সংখ্যা কমিয়ে দেন প্রধান বিচারপতি।
গত ৫ আগষ্ট পর্যন্ত মাত্র তিনটি বেঞ্চ চালু ছিল। সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করায় এবং আদালতসংশ্লিষ্টরা করোনা টিকা গ্রহণ করায় ফুলকোর্ট সভায় ১২টি বেঞ্চ চালুর সিদ্ধান্ত হয়। তবে সরকার আগামী ১১ আগস্ট থেকে প্রায় সব কিছু খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় প্রধান বিচারপতিও হাইকোর্ট বিভাগের সব বেঞ্চ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
Discussion about this post