বিডিলনিউজঃ রাজনৈতিক ক্ষমতাধর ব্যক্তি সম্পৃক্ত থাকায় বাংলাদেশ ব্যাংকের লাইসেন্স পাওয়া নতুন ব্যাংকগুলোর সঙ্গে বিশ্বের প্রসিদ্ধ কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যাংকিং করতে চাচ্ছে না। আন্তর্জাতিক লেনদেন করতে না পারায় এসব ব্যাংক উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। মূলত বৈদেশিক বাণিজ্য সম্পাদনে ব্যাংকগুলোকে বিশ্বব্যাপী নেটওয়ার্ক রয়েছে এমন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নস্ট্রো (বিদেশে ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রার হিসাব) অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়। নতুন ব্যাংকগুলো আঞ্চলিক পর্যায়ে দুয়েকটি দেশের ব্যাংকের সঙ্গে অ্যাকাউন্ট খুললেও উন্নত কোনো দেশের সঙ্গে বৈদেশিক লেনদেন করতে পারছে না। এ পরিস্থিতিতে ক্ষণস্থায়ী সমাধান হিসেবে দেশীয় কোনো ব্যাংকের নস্ট্রো অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে বৈদেশিক বাণিজ্য করছে এসব ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, কোনো ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ বা মালিকানায় রাজনৈতিক ক্ষমতাধর কোনো ব্যক্তি সম্পৃক্ত থাকলে অ্যাকাউন্ট খোলার ব্যাপারে জাতিসংঘের দুর্নীতিবিরোধী কনভেনশন এবং ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্কফোর্সের (এফএটিএফ) বিশেষ সতর্কতা রয়েছে। যেহেতু নতুন লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যাংকগুলোতে রাজনৈতিক কর্তাব্যক্তিরা জড়িত রয়েছেন তাই বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেন করতে জাতিসংঘের ধারা অনুযায়ী অধিক সতর্কতার বাধায় পড়েছে। সূত্র জানায়, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০০২-এর ৪ ও ১৯ নম্বর ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জাতিসংঘের দুর্নীতিবিরোধী কনভেনশন এবং ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্কফোর্সের (এফএটিএফ) ৬ নম্বর সুপারিশ পরিপালনে পলিটিক্যালি এক্সপোড পারসনের (পেপস) হিসাব খোলা অথবা পরিচালনার ক্ষেত্রে অধিকতর সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দেওয়া আছে। জাতিসংঘ কোনো দেশের সরকারপ্রধান, জ্যেষ্ঠ রাজনীতিক, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, বিচার অথবা সামরিক কর্মকর্তা, সরকারি করপোরেশনের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী, কোনো রাজনৈতিক দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট খুলতে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনে নির্দেশনা দিয়েছে। এমনকি ক্ষমতাবান এসব ব্যক্তির পরিবারের সদস্য বা নিকটস্থ কোনো সহযোগীর অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে অনুরূপ সতর্ক হতে বলেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক ম. মাহফুজুর রহমান সকালের খবরকে বলেন, কোনো ব্যাংকের মালিকানায় পেপস থাকলে নস্ট্রো অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে না, বিষয়টি সে রকম নয়। তবে যে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলবে তারা বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করে। এজন্য তারা ডিউ ডিলিজেন্স নির্ধারণ করে দিয়ে থাকে। মূলত কোনো দেশের অর্থ পাচার ঠেকাতে পেপস হল আন্তর্জাতিকভাবে পরিপালনীয় একটি পদ্ধতি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, কোনো দেশের সরকারপ্রধান, রাজনৈতিক দলের প্রধান, মন্ত্রী বা সমমর্যাদার ব্যক্তি বা সরকারের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করতে পারেন এমন ব্যক্তি ব্যাংকের সঙ্গে জড়িত থাকলে নস্ট্রো অ্যাকাউন্ট খুলতে ঝুঁকি দেখা দেয়। এজন্য অ্যাকাউন্ট খোলার আগে ওই আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ঝুঁকি নিরূপণ এবং প্রতিটি লেনদেনে ডিউ ডিলিজেন্স নিশ্চিত করতে হয়। এক্ষেত্রে লেনদেনের কোনো অতিরিক্ত তথ্যের চাহিদা থাকলে ব্যাংককে তা সরবরাহ করতে হয়।
সূত্র জানায়, নতুন অনুমোদন পাওয়া ব্যাংকগুলোর মধ্যে গতকাল পর্যন্ত সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক ৪২টি, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক ২১টি এবং মেঘনা ব্যাংক ১৮টি আমদানিতে ঋণপত্র (এলসি) খুলেছে। ইউনিয়ন, মিডল্যান্ডসহ অন্য কোনো নতুন ব্যাংক বৈদেশিক বাণিজ্যে অংশ নিতে পারেনি। যারা ঋণপত্র খুলেছে তারা মূলত ভারত বা সার্কভুক্ত কোনো দেশের সঙ্গে বাণিজ্য করছে। এটাকে অনেকটা আঞ্চলিক নস্ট্রো অ্যাকাউন্ট বলা চলে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভারতের দুয়েকটি ব্যাংক যেসব অ্যাকাউন্ট খুলেছে তা মূলত এশিয়ান ক্লিয়ারিং হাউসের (আকু) বিল পরিশোধের জন্য। অনেক সময় নতুন ব্যাংকগুলো অন্য ব্যাংকের কাছ থেকে ডলার কিনে রফতানি বিল পরিশোধ করছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, ইউনিয়ন ব্যাংক তাদের বৈদেশিক বাণিজ্য সম্পন্নে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের নস্ট্রো অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছে। তবে আমদানি-রফতানিতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের গ্রাহক হওয়ার শর্ত থাকায় অনুমোদন দেয়নি কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এ প্রসঙ্গে মিডল্যান্ড ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) একেএম শহীদুল হক সকালের খবরকে বলেন, বৈদেশিক লেনদেনে নস্ট্রো অ্যাকাউন্ট খুলতে বিদেশি ব্যাংকগুলো সাম্প্রতিক সময়ের তথ্য সংগ্রহ করে থাকে। নতুন ব্যাংকগুলোর কিছু কমপ্লায়েন্স বাকি থাকায় বৈদেশিক বাণিজ্যে একটু দেরি হচ্ছে। তবে ধীরে ধীরে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। মধুমতি ব্যাংকের এমডি মিজানুর রহমান সকালের খবরকে বলেন, আমাদের নস্ট্রো অ্যাকাউন্ট প্রায় প্রস্তুত হয়ে গেছে। অল্প সময়ের মধ্যে আমরা বৈদেশিক লেনদেন শুরু করতে পারব। তবে কোন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অ্যাকাউন্ট খুলেছেন তা তিনি বলতে চাননি।
সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের এমডি মো. রফিকুল ইসলাম সকালের খবরকে বলেন, ভারতসহ আরও একটি দেশের সঙ্গে ইতোমধ্যে আমরা নস্ট্রো অ্যাকাউন্ট খুলতে সক্ষম হয়েছি। দ্রুততম সময়ের ব্যবধানে উন্নত দেশগুলোর সঙ্গেও ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করতে পারব।
দেশে নতুন নয়টি ব্যাংকের জন্য যারা লাইসেন্স পেয়েছেন তাদের সবাই ক্ষমতাসীন মহাজোট সরকারের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। সূত্র মতে, দি ফারমার্স ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর। যদিও চূড়ান্ত লাইসেন্স দেওয়ার আগে তিনি চেয়ারম্যানের পদ তার স্ত্রী ড. সেতারা আলমগীরকে ছেড়ে দিয়েছেন। মধুমতি ব্যাংকের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাইয়ের ছেলে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এমপি।
মেঘনা ব্যাংকের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এইচএন আশেকুর রহমান এমপি। এ ব্যাংকে আওয়ামী লীগ নেতা ও রিহ্যাবের সভাপতি নসরুল হামিদ এমপির শেয়ার রয়েছে।
সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের চেয়ারম্যান এসএম আমজাদ হোসেন। এ ব্যাংকের পরিচালক আওয়ামী লীগের সাবেক ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ও খুলনা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক। চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি এলাকায় শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই শেখ হেলাল এমপির (বাগেরহাট-১) ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত। এছাড়া এ ব্যাংক অনুমোদনে আরও কাজ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান।
মিডল্যান্ড ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আয়কর উপদেষ্টা এম. মনিরুজ্জামান খন্দকার। এ ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ এমপির স্ত্রী নিলুফার জাফরুল্লাহ। ইউনিয়ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান শহিদুল আলম। এ ব্যাংকটি অনুমোদনের সময়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মহাজোট নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এমপির ১০ শতাংশ শেয়ার ছিল। যদিও বর্তমানে চট্টগ্রামের এস আলম গ্রুপ সম্পূর্ণ ব্যাংকটি কিনে নিয়েছে।
প্রবাসীদের কল্যাণে তিনটি ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের চেয়ারম্যান যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার ফরাসত আলী। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের নেতা সিমার্ক গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইকবাল আহমেদ এনআরবি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এবং এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা নিজাম চৌধুরী।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক ম. মাহফুজুর রহমান সকালের খবরকে বলেন, কোনো ব্যাংকের মালিকানায় পেপস থাকলে নস্ট্রো অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে না, বিষয়টি সে রকম নয়। তবে যে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলবে তারা বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করে। এজন্য তারা ডিউ ডিলিজেন্স নির্ধারণ করে দিয়ে থাকে। মূলত কোনো দেশের অর্থ পাচার ঠেকাতে পেপস হল আন্তর্জাতিকভাবে পরিপালনীয় একটি পদ্ধতি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, কোনো দেশের সরকারপ্রধান, রাজনৈতিক দলের প্রধান, মন্ত্রী বা সমমর্যাদার ব্যক্তি বা সরকারের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করতে পারেন এমন ব্যক্তি ব্যাংকের সঙ্গে জড়িত থাকলে নস্ট্রো অ্যাকাউন্ট খুলতে ঝুঁকি দেখা দেয়। এজন্য অ্যাকাউন্ট খোলার আগে ওই আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ঝুঁকি নিরূপণ এবং প্রতিটি লেনদেনে ডিউ ডিলিজেন্স নিশ্চিত করতে হয়। এক্ষেত্রে লেনদেনের কোনো অতিরিক্ত তথ্যের চাহিদা থাকলে ব্যাংককে তা সরবরাহ করতে হয়।
সূত্র জানায়, নতুন অনুমোদন পাওয়া ব্যাংকগুলোর মধ্যে গতকাল পর্যন্ত সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক ৪২টি, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক ২১টি এবং মেঘনা ব্যাংক ১৮টি আমদানিতে ঋণপত্র (এলসি) খুলেছে। ইউনিয়ন, মিডল্যান্ডসহ অন্য কোনো নতুন ব্যাংক বৈদেশিক বাণিজ্যে অংশ নিতে পারেনি। যারা ঋণপত্র খুলেছে তারা মূলত ভারত বা সার্কভুক্ত কোনো দেশের সঙ্গে বাণিজ্য করছে। এটাকে অনেকটা আঞ্চলিক নস্ট্রো অ্যাকাউন্ট বলা চলে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভারতের দুয়েকটি ব্যাংক যেসব অ্যাকাউন্ট খুলেছে তা মূলত এশিয়ান ক্লিয়ারিং হাউসের (আকু) বিল পরিশোধের জন্য। অনেক সময় নতুন ব্যাংকগুলো অন্য ব্যাংকের কাছ থেকে ডলার কিনে রফতানি বিল পরিশোধ করছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, ইউনিয়ন ব্যাংক তাদের বৈদেশিক বাণিজ্য সম্পন্নে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের নস্ট্রো অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছে। তবে আমদানি-রফতানিতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের গ্রাহক হওয়ার শর্ত থাকায় অনুমোদন দেয়নি কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এ প্রসঙ্গে মিডল্যান্ড ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) একেএম শহীদুল হক সকালের খবরকে বলেন, বৈদেশিক লেনদেনে নস্ট্রো অ্যাকাউন্ট খুলতে বিদেশি ব্যাংকগুলো সাম্প্রতিক সময়ের তথ্য সংগ্রহ করে থাকে। নতুন ব্যাংকগুলোর কিছু কমপ্লায়েন্স বাকি থাকায় বৈদেশিক বাণিজ্যে একটু দেরি হচ্ছে। তবে ধীরে ধীরে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। মধুমতি ব্যাংকের এমডি মিজানুর রহমান সকালের খবরকে বলেন, আমাদের নস্ট্রো অ্যাকাউন্ট প্রায় প্রস্তুত হয়ে গেছে। অল্প সময়ের মধ্যে আমরা বৈদেশিক লেনদেন শুরু করতে পারব। তবে কোন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অ্যাকাউন্ট খুলেছেন তা তিনি বলতে চাননি।
সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের এমডি মো. রফিকুল ইসলাম সকালের খবরকে বলেন, ভারতসহ আরও একটি দেশের সঙ্গে ইতোমধ্যে আমরা নস্ট্রো অ্যাকাউন্ট খুলতে সক্ষম হয়েছি। দ্রুততম সময়ের ব্যবধানে উন্নত দেশগুলোর সঙ্গেও ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করতে পারব।
দেশে নতুন নয়টি ব্যাংকের জন্য যারা লাইসেন্স পেয়েছেন তাদের সবাই ক্ষমতাসীন মহাজোট সরকারের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। সূত্র মতে, দি ফারমার্স ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর। যদিও চূড়ান্ত লাইসেন্স দেওয়ার আগে তিনি চেয়ারম্যানের পদ তার স্ত্রী ড. সেতারা আলমগীরকে ছেড়ে দিয়েছেন। মধুমতি ব্যাংকের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাইয়ের ছেলে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এমপি।
মেঘনা ব্যাংকের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এইচএন আশেকুর রহমান এমপি। এ ব্যাংকে আওয়ামী লীগ নেতা ও রিহ্যাবের সভাপতি নসরুল হামিদ এমপির শেয়ার রয়েছে।
সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের চেয়ারম্যান এসএম আমজাদ হোসেন। এ ব্যাংকের পরিচালক আওয়ামী লীগের সাবেক ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ও খুলনা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক। চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি এলাকায় শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই শেখ হেলাল এমপির (বাগেরহাট-১) ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত। এছাড়া এ ব্যাংক অনুমোদনে আরও কাজ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান।
মিডল্যান্ড ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আয়কর উপদেষ্টা এম. মনিরুজ্জামান খন্দকার। এ ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ এমপির স্ত্রী নিলুফার জাফরুল্লাহ। ইউনিয়ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান শহিদুল আলম। এ ব্যাংকটি অনুমোদনের সময়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মহাজোট নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এমপির ১০ শতাংশ শেয়ার ছিল। যদিও বর্তমানে চট্টগ্রামের এস আলম গ্রুপ সম্পূর্ণ ব্যাংকটি কিনে নিয়েছে।
প্রবাসীদের কল্যাণে তিনটি ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের চেয়ারম্যান যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার ফরাসত আলী। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের নেতা সিমার্ক গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইকবাল আহমেদ এনআরবি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এবং এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা নিজাম চৌধুরী।
Discussion about this post