ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা ও সদর উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ‘বন্দকযুদ্ধে’ আবদুল্লা হেল কাফি (৩১) ও আলমগীর হোসেন গুতু (২৭) নামে দুই যুবক নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার রাত পৌনে ২টার দিকে মুক্তাগাছার রসুলপুর-কাঁঠালিয়া ঝলই ব্রিজ ও সদর উপজেলার ৭নং চরনিলক্ষীয়া ইউনিয়নের সাহেব কাচারি বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশের দাবি, নিহতরা ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। কাফি মুক্তাগাছা উপজেলার শীর্ষ অস্ত্রধারী ও গুতু সদরের মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক, ডাকাতি ও ছিনতাইসহ আটটিরও বেশি মামলা রয়েছে।
নিহত কাফি ফুলবাড়ীয়া উপজেলার আমদালিয়া গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমান ছেলে ও আলমাগীর নগরীর কালিবাড়ী রোডের পুরনো গুদারাঘাট এলাকার ইব্রাহিমের ছেলে।
এদিকে এ ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নাজিম উদ্দিন, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. মজিদ, পুলিশ কনস্টেবল ইব্রাহীম, সাইদুল ইসলাম ও আরমান উদ্দিন নামে ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তারা পুলিশলাইন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ( ডিবি) ওসি শাহ মো. কামাল আকন্দ জানান, কাঁঠালিয়া ঝলই ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় কিছু অস্ত্রধারী ডাকাত দল ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন গোপন খবর পাওয়া যায়।
এ তথ্যের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করতে থাকে। তখন পুলিশ আত্নরক্ষার্থে গুলি চালায়।
পরে ঘটনাস্থল থেকে মো. আবদুল্লা হেল কাফিকে একটি কাঠের বাঁটযুক্ত এলজি ও দুই রাউন্ড কার্তুজসহ আহত অবস্থায় পাওয়া যায়। কাফিকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা রয়েছে।
অন্যদিকে শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে শহরতলির সাহেব কাচারি বাজার বিসমিল্লাহ হ্যাচারিসংলগ্ন এলাকায় ডিবি পুলিশের ওসির নেতৃত্বে ডিবির আরও একটি দল মাদকবিরোধী অভিযান চালায়।
এ সময় কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী পুলিশের অবস্থান টের পেয়ে তাদের লক্ষ্য করে অতর্কিতভাবে ঢিল ছুড়ে ও গুলি করে। তখন পুলিশও আত্মরক্ষার্থে গুলি করে। একপর্যায়ে অন্যরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আলমাগীরকে পাওয়া যায়।
এ সময় তার কাছ থেকে দুই কেজি গাঁজা ও দুটি গুলির খোসা পাওয়া যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তবে নিহতদের বিরুদ্ধ একাধিক মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় মুক্তাগাছা ও কোতোয়ালি মডেল থানায় পৃথক দুটি মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান শাহ মো. কামাল আকন্দ।




Discussion about this post