নিজস্ব প্রতিবেদক: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত তিনজনের প্রার্থিতা স্থগিতের আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তারা হলেন- জামালপুর-৪ আসনের শামীম তালুকদার, জয়পুরহাট-১ আসনের ফজলুর রহমান এবং ঝিনাইদহ-২ আসনের অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ। উপজেলা চেয়ারম্যান পদের পদত্যাগ পত্র গৃহীত না হওয়ায় তাদের প্রার্থিতা স্থগিত করা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোককেট শাহ্ মঞ্জুরুল হক। রাষ্ট্রপক্ষে আছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
এছাড়া মানিকগঞ্জ-১ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী এস এ জিন্নাহ কবীরের প্রার্থিতা বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। তার পরিবর্তে বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে আব্দুল হামিদ ডাবলুকে ধানের শীষ প্রতীক দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এদিকে গাইবান্ধা-৩ (পলাশবাড়ি-সাদুল্যাপুর) আসনের নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ড. টি আই এম ফজলে রাব্বী চৌধুরীর মৃত্যুতে আইন অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এই কথা জানান নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
এর আগে বুধবার দিবাগত রাত ২টা ২০ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান বর্ষীয়ান এই রাজনীতিক। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের হলে লড়ছিলেন।
এছাড়া সচিব জানান, জামায়াতে ইসলামের ২৫ আসনের প্রার্থীর বিষয়ে হাইকোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এই বিষয়ে তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিবসহ ৪ জনের আবেদন তিনদিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতের সেই আদেশের অনুলিপি বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনে এসে পৌঁছে। সেই হিসেবে তিনদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান সচিব।
আগামী ২৪ ডিসেম্বর সারাদেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে এবং এর ফলে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরো স্বাভাবিক হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।




Discussion about this post