নিজস্ব প্রতিবেদক: অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের যথেচ্ছ ব্যবহার ঠেকাতে প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসাথে সারাদেশে প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়েটিক বিক্রি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
এর আগে গতকাল বুধবার রিট আবেদনটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান। রিটে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি), দেশের সব জেলা প্রশাসক এবং ইউএনও’কে রেসপনডেন্ট করা হয়।
ব্যারিস্টার সুমন ওইদিন বলেন, রোগের চাহিদা ছাড়াও ফার্মেসিগুলোতে রোগীকে অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া হয়। অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের একপর্যায়ে এসব রোগীর শরীরে আর অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করে না। তিনি বলেন, প্রেসক্রিপশন ছাড়া ফার্মেসিতে অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা আছে। কিন্তু অনেকেই অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ সেবন করেন ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই।
সম্প্রতি অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের কারণে ৪০০ মানুষ মারা গেছে। জাতীয় একটি দৈনিকে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কারণে রিটটি করা হয়। ২০১৬ সালে প্রকাশিত আরেক প্রতিবেদনে বলা হয়, সুপারবাগ দিন দিন এতটাই ভয়াবহ হয়ে উঠছে যে ২০৫০ সালের মধ্যে প্রতিবছর ১ কোটি মানুষের মৃত্যুর কারণ হতে পারে এটি।
আদালতের আদেশের পর সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন গণমাধ্যমকে জানান, আদালত রিট পিটিশনের শুনানি শেষে একটি রুল ইস্যু করেছেন। রুলে সারাদেশে প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়েটিক বিক্রি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন। একইসাথে এ আদেশ পাওয়ার দুই দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি প্রতি জেলার সিভিল সার্জন ও ডিসিদের এসব আদেশ পাঠাবেন। এবং এ নির্দেশনা থাকবে আদেশ গ্রহণ করার সাথে এসব বিক্রি বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।




Discussion about this post