নিজস্ব প্রতিবেদকঃ লকডাউন এর সময় থেকেই চলছে ভার্চুয়াল আদালতের কার্যক্রম এবং এই কার্যক্রম চলাকালীন সময়ে অনেক ক্ষেত্রেই এসেছে নতুন নতুন নির্দেশনা। তারই ধারাবাহিকতায় হাইকোর্ট বিভাগের এনেক্স ১৯ নং আদালত এবং এনেক্স ০৫ নং আদালতে ফৌজদারি মামলার ফাইলিং এর ক্ষেত্রে আরো নতুন কিছু নির্দেশনা এসেছে।
এনেক্স ১৯ নং আদালতের নির্দেশনাগুলো নিম্নরূপঃ
- কোন আইনজীবী কোর্ট রুমে প্রবেশ করতে পারবে না
- কোন আইনজীবী প্রতিদিন একটির অধিক এবং প্রতি সপ্তাহে দুটির অধিক আবেদনপত্র শুনানি করতে পারবেন না
- শুধুমাত্র ফাইলিং আইনজীবী তার ব্যক্তিগত ইমেইল থেকে আবেদনপত্র দাখিল করতে পারবেন। অন্য কারো ইমেইল থেকে আবেদনপত্র দাখিল করা হলে তা বাতিল বলে গণ্য হবে।
- একটি আবেদন পত্র এক বা দুই টি এটাচমেন্টে দাখিল করতে হবে; এর অধিক হলে সে আবেদনপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে।
- আবেদনপত্র সাদা কাগজে প্রিন্ট করে পিডিএফ আকারে তাকেই দাখিল করতে হবে অন্য কোন উপায় থাকলে দাখিল করলে তা বাতিল বলে গণ্য হবে।
- শুধুমাত্র যে সকল আবেদন পত্র মাননীয় বিচারপতি মহোদয় অতীব জরুরী মনে করবেন সেগুলোতে মামলা নম্বর পড়বে এবং লিস্টে আসবে এবং যথাসময়ে শুনানির জন্য লিঙ্ক পাঠানো হবে।
এনেক্স ০৫ নং আদালতের নির্দেশনাগুলো নিম্নরূপঃ
- Emergency Application অবশ্যই দিতে হবে।
- Undertaking অবশ্যই দিতে হবে।
- ওকালতনামা অবশ্যই দিতে হবে।
- কোন মামলায় একের অধিক বার সেন্ড করা যাবে না।
- প্রত্যেক এডভোকেটের নিজস্ব ইমেইল আইডি থেকে মামলা সেন্ড করতে হবে।
- একটি আবেদন পত্রে তিনটি অ্যাটাচমেন্ট দাখিল করতে হবে যেমন পিটিশনের জন্য একটা, অর্ডার শীট এর জন্য একটা এবং ওকালতনামার জন্য একটা।
- ইমেইল সেন্ড করার সময় অবশ্যই সাবজেক্টে মামলার সেকশন, ডিস্ট্রিক্ট, পিটিশনার এর নাম, এডভোকেট এর নাম দিতে হবে।
- প্রত্যেক পিটিশনে এমার্জেন্সি অ্যাপ্লিকেশন ও আন্ডারটেকিং এ এডভোকেট এর নাম, মোবাইল নম্বর, ইমেইল এড্রেস, বারের সদস্য নং এবং স্বাক্ষর দিতে হবে।
- ইমেইল সেন্ড করার সময় সিসি কপি অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে অফিসেও ইমেইল (agoannex5@gmaul.com) করতে হবে।
উপরোক্ত নির্দেশনার কোন একটি বাদ দিলে আবেদনপত্র বাতিল বলিয়া গণ্য হবে।
Discussion about this post