ব্লগার ও বিজ্ঞানবিষয়ক লেখক অভিজিৎ রায় হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার সোহেল ওরফে সাকিব আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
আজ সোমবার (৬ নভেম্বর) তাকে মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে হাজির করে জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম আহসান হাবীব তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোজাম্মেল হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে রোববার রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ও ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট।
গ্রেফতারের পর পুলিশ বলেছে, সোহেল নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের (পুরোনো নাম আনসারুল্লাহ বাংলা টিম) সক্রিয় সদস্য। তিনি অভিজিৎ রায় হত্যায় সরাসরি জড়িত ছিল।
অভিজিৎ রায়কে যেখানে হত্যা করা হয়, তার আশপাশ থেকে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশ। এরপর সোহেলসহ ছয়জনকে ধরিয়ে দিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ফেসবুক পেজে ছবি দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বইমেলা থেকে বের হওয়ার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় ব্লগার অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ওই ঘটনায় গুরুতর আহত হন তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ। পরে শাহবাগ থানায় অভিজিতের বাবা অধ্যাপক ড. অজয় রায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
হত্যাকাণ্ডের কয়েকদিন পর আল-কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশ শাখা (একিউআইএস) ওই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকারের খবর দেয় জঙ্গিগোষ্ঠীর ইন্টারনেটভিত্তিক তৎপরতা নজরদারি করা ওয়েবসাইট ‘সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ।’
বাংলাদেশ সরকার অবশ্য বরাবরই বলে আসছে, এসব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠীর কোনো সম্পর্ক নেই।
Discussion about this post