অতীতে তিনি স্বৈরাচার সরকারের মন্ত্রী ছিলেন এবং এখনো তাঁর স্বৈরাচারী মনোভাবের পরিবর্তন হয়নি বিধায় তিনি এ রকম ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করছেন। মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত শিক্ষকদের আন্দোলনের সমালোচনা করে বলেছিলেন, দেশের সবচেয়ে শিক্ষিত জনগোষ্ঠী জ্ঞানের অভাবে আন্দোলন করছেন। তাঁদের কর্মবিরতির কোনো যুক্তি নেই। তাঁরা জানেনই না যে নতুন বেতনকাঠামোতে তাঁদের জন্য কী আছে, কী নেই।
এ বিষয়ে আজকের বিবৃতিতে শিক্ষকেরা বলেন, বিদ্যমান বেতন কাঠামোতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্ত অধ্যাপকদের অবস্থান গ্রেড ১ এ হলেও নতুন বেতন কাঠামোতে তা অবনমন হয়েছে। ঘোষিত বেতন কাঠামোতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের চার দফা দাবির কোনোটিই গ্রহণ করা হয়নি-দাবি করে বিবৃতিতে বলা হয়, অর্থমন্ত্রীর মন্তব্য বাংলাদেশের শিক্ষা পরিবারের প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি সদস্যের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার করেছে।
এমতাবস্থায় আমরা অর্থমন্ত্রীকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁর বক্তব্য প্রত্যাহার করে প্রকাশ্য ক্ষমা প্রার্থনার আহ্বান জানাই। অন্যথায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেকোনো উদ্ভূত পরিস্থিতির দায়ভার তাঁকেই বহন করতে হবে।
Discussion about this post