অস্ট্রিয়ায় প্রকাশ্য স্থানে মুসলমান নারীদের পুরো মুখ-ঢাকা নেকাব বা বোরকা পরা নিষিদ্ধ করে জারি করা আইন রোববার কার্যকর হয়েছে।
দেশটির সরকার বলছে, অস্ট্রিয়ার মূল্যবোধ রক্ষার জন্যই আইনটি করা হয়েছে। এ আইন অনুযাযী, মাথার চুল থেকে চিবুক পর্যন্ত মুখ দৃশ্যমান থাকতে হবে। খবর বিবিসির
৮০ লাখ জনসংখ্যার দেশ অস্ট্রিয়ায় প্রায় ৭ লাখ মুসলমান বসবাস করেন। তবে দেশটিতে ১৫০ জনের মতো মুসলমান নারী পুরো মুখ-ঢাকা বোরকা বা নেকাব পরেন বলে ধারণা করা হয়।
নেকাব নিষিদ্ধের পাশাপাশি এ আইনে চিকিৎসাগত কারণে মুখ ঢাকা বা সং সাজাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এ আইন এমন এক সময় কার্যকর হলো যখন দেশটিতে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নির্বাচনের আগে ইসলামভীতি বা বিদ্বেষের অনুভূতিকে কাজে লাগানোর চেষ্টা চলছে। ধারণা করা হচ্ছে, আসছে নভেম্বর মাসের ওই নির্বাচনে হয়তো একটি উগ্রদক্ষিণপন্থি দল কোয়ালিশন সরকারের অংশ হয়ে উঠতে পারে।
এর আগে ২০১১ সালে ফ্রান্স ও বেলজিয়াম মুখ ঢাকা বোরকার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এছাড়া নেদারল্যান্ডসের পার্লামেন্টেও এ ধরনের একটি বিল আনা হয়েছে।
জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল বলেছেন, আইনগতভাবে সম্ভব হলে জার্মানিতেও পুরো-মুখ-ঢাকা বোরকা বা নেকাব নিষিদ্ধ করা উচিত। তবে যুক্তরাজ্যে নেকাব বা বোরকার ওপর কোন নিষেধাজ্ঞা নেই।
এদিকে, অষ্ট্রিয়ার পর্যটন কর্মকর্তারা নয়া এই আইনের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, এতে প্রতি বছর উপসাগরীয় আরব দেশগুলো থেকে আসা পর্যটকদের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।
Discussion about this post