কুমিল্লা নগরীর ঢুলিপাড়ায় দুই শিশু হত্যাকাণ্ডে দায়ের করা মামলায় আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন তাদের সৎ বোন তানজিনা আক্তার।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার দক্ষিণ ঢুলিপাড়ায় ঘরের মধ্যে শ্বাসরোধ ও গলায় দড়ি পেঁচিয়ে হত্যা করা হয় স্থানীয় মুদি দোকানদার আবুল কালামের দ্বিতীয় সংসারের দুই ছেলে শিশু জয় (৮) ও মনিকে (৬)। বিকেল ৪টায় পুলিশ তাদের মরদেহ। এ হত্যাকাণ্ডের পর প্রথম সংসারের দুই সন্তান ছোটন ও তানজিনা পালিয়ে যায়।
আবুল কালামের দুই সংসার। প্রথম সংসারে ৩ মেয়ে ও এক ছেলে এবং দ্বিতীয় সংসারে ছিল দুই ছেলে জয় ও মনি। প্রথম সংসারের দুই সন্তান এবং দ্বিতীয় সংসারের স্ত্রী ও তার দুই সন্তান একই বাড়িতে থাকতো।
কালামের দ্বিতীয় স্ত্রী রেখা বেগমের মা দুই শিশু হত্যাকাণ্ডের তিন দিন আগে মারা যান। শাশুড়ির মিলাদ মাহফিলে অংশ নিতে ঘটনার দিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্ত্রী রেখা বেগমকে নিয়ে জেলার ব্রাক্ষণপাড়া উপজেলার শালদানদী এলাকায় যান আবুল কালাম।
এ সময় দ্বিতীয় সংসারের সন্তান জয় ও মনিকে প্রথম স্ত্রী রোকেয়া বেগমের দুই সন্তান ছোটন (ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির বিবিএ শিক্ষার্থী) ও তানজিনার (দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী) কাছে রেখে যান। বিকেল সাড়ে ৩টায় বাড়ি ফিরে বিছানায় দুই শিশুর লাশ দেখতে পান কালাম ও রেখা। এসময় বিছানার পাশে দড়ি ও গামছা পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে মরদেহ দু’টি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
শনিবার (২৭ ফেব্রয়ারি) রাতে দুই শিশুর মা রেখা বেগম বাদী হয়ে সদর দক্ষিণ থানায় হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। এতে শিশু দু’টির সৎ ভাই ছোটনকে আসামি করেন তিনি। এই প্রেক্ষিতে ২৮ ফেব্রুয়ারি বাড়ি ফিরে আসেন সৎ বোন তানজিনা। আর সোমবার আদালতে গিয়ে আপন বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে স্বাক্ষী দেন তিনি।
সূত্র জানায়, জবানবন্দিতে তানজিনা আদালতকে জানিয়েছেন, তার বড় ভাই ছোটনই জয় ও মনিকে খুন করেছেন।
সদর দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রশান্ত পাল তানজিনার জবানবন্দি দেওয়ার বিষয়টি জানান।
Discussion about this post