চট্টগ্রামে আদালতের এজলাসকক্ষ ভাংচুরের ঘটনায় কয়েকজন আইনজীবীর নাম উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করেছেন প্রধান বিচারপতির নির্দেশে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের তদন্ত কমিটি।
ঘটনার পরদিন গত ১৯ জানুয়ারি করা তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গত বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতির কাছে এ রিপোর্ট জমা দেন।
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে কমিটিতে সদস্য হিসেবে ছিলেন হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (প্রশাসন ও বিচার) মো. সাব্বির ফয়েজ ও চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুসেইন মো. রেজা।
কমিটি সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ এসেছে আইনজীবী জান্নাতুল ফেরদৌস মুক্তা, চন্দন বিশ্বাস, সাকিল, আউয়াল খান, টিআর খান, প্রদীপ দাশ, শিবলী, মাসুদ পারভেজ, মুস্তাফিজসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। কয়েকটি সুপারিশসহ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে প্রতিবেদনে।
গত ১৮ জানুয়ারি মানবপাচার আইনের এক মামলায় গ্রেফতারকৃত আইনজীবী জামাল উদ্দিন ও তার স্ত্রী ইয়াছমিন আক্তারের জামিন ও রিমান্ডের আবেদন নামঞ্জুর করেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম শাহাদাৎ হোসেন ভূঁইয়ার আদালত। জামিন নামঞ্জুরের সঙ্গে সঙ্গেই বিক্ষোভে নামেন আইনজীবীরা।
এ সময় বিচারকের এজলাস এবং খাসকামরার জানালায় ভাংচুর হয়। আইনজীবীদের নজিরবিহীন এ বিক্ষোভের মুখে আরেকটি আদালতে শুনানি করে একইদিন সন্ধ্যায় ওই আইনজীবী ও তার স্ত্রীকে জামিন দেওয়া হয়।
এর পরদিন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা ভাংচুরের ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে দেন। সেদিন থেকেই তদন্ত শুরু করেন তদন্ত কমিটি।
তদন্ত কমিটির সদস্য মো. সাব্বির ফয়েজ বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার আমরা আমাদের রিপোর্ট প্রধান বিচারপতির কাছে জমা দিয়েছি’।
এদিকে ২৩ জানুয়ারি চট্টগ্রামে আদালতের এজলাসকক্ষ ভাংচুরের ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে বার কাউন্সিলকে চিঠি দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট।
চিঠিতে দায়ীদের বিরুদ্ধে নেওয়া ব্যবস্থা সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্টকে অবহিত করতেও বলা হয়।
Discussion about this post