আশুলিয়ার শ্রমিক পরিস্থিতিতে শ্রম অধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে কি-না, তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক।
আজ মঙ্গলবার (০৩ জানুয়ারি) দুপুরে কমিশনের কারওয়ানবাজার কার্যালয়ে গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের ১২ সদস্যের দল চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হকের সঙ্গে দেখা করেন। আশুলিয়ার শ্রমিক ইস্যুতে তার হাতে স্মারকলিপি তুলে দেওয়া হয়।
স্মারকলিপি গ্রহণ করে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘আশুলিয়ার আন্দোলনরত শ্রমিকদের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ আইনে মামলা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শ্রমিক নির্যাতনেরও অভিযোগ করছেন শ্রমিক নেতারা। আমরা এসব বিষয় খতিয়ে দেখবো। কিভাবে শ্রমিকদের সমস্যার সমাধান করা যায়, তা নিয়ে কাজ করবো’।
‘তাজরীনের অগ্নিকাণ্ডে আমরা দেখেছি, শ্রমিকদের জীবনের চেয়ে কাপড়ের নিরাপত্তাকে বেশি প্রাধান্য দিয়েছিলেন মালিকপক্ষ। এ দেশের শক্ত অবস্থানের ক্ষেত্রে পোশাক শ্রমিকদের অবদান উল্লেখযোগ্য’।
শ্রমিক ছাঁটাই ও নির্যাতন বন্ধ, শ্রমিকদের কথা বলার অধিকার প্রদান, মামলা প্রত্যাহারসহ ৮ দফা দাবিতে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘শ্রমিকদের ওপর নানা নির্যাতন চলছে। কাজে যোগ দেওয়া শ্রমিকরাও মামলা ও ছাঁটাই আতঙ্কে রয়েছেন। স্থানীয় মাস্তানদের দিয়ে ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে, যা মানবাধিকারের লঙ্ঘন’।
শ্রমিকদের মানবাধিকার লঙ্ঘন রোধে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয় স্মারকলিপিতে।
গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরামের সভাপতি মোশরেফা মিশু বলেন, ‘শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য মজুরির বিষয়ে কথা বলবেন, এটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে যেভাবে নির্যাতন চলছে, তা কাম্য নয়। তারা ঘরে শান্তিতে থাকতে পারছেন না। মামলা ও মাস্তানের ভয়ে সময় কাটে তাদের। কারখানায় ছাঁটাই আতঙ্ককে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে হয়’।
‘এসবের মাধ্যমে শ্রমিকদের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। আমরা আশা করবো, এসব বিষয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন পদক্ষেপ নেবে’।
Discussion about this post