দুর্নীতির একটি মামলায় সোনালী ব্যাংকের একজন এবং প্যারাগন নিট কম্পোজিট নামে একটি প্রতিষ্ঠানের দুই কর্মকর্তাকে যাবজ্জীবন এবং অন্য একটি ধারায় ৭ বছর কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাথে আত্মসাতকৃত ২ কোটি ২২ লাখ ৭৮ হাজার ৬১০ টাকা জরিোনা এবং ৭ বছর কারাদণ্ডের সাথে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তার আরও ১ বছর কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।
দণ্ডিতরা হলেন, সোনালী ব্যাংকের এজিএম (সাময়িক বরখাস্ত) সাইফুল হাসান, প্যারাগন নিট কম্পোজিটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম রাজা ও পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন।
মঙ্গলবার ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামান পলাতক ওই আসামিদের বিরুদ্ধে এই রায় ঘোষণা করেন।
মামলাটিতে সোনালী ব্যাংকের ডিজিএম (সাময়িক বরখাস্ত) একেএম আজিজুর রহমান আসামি থাকলেও তিনি বিচার চলাকালীন মারা যাওয়ায় আগেই তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
মামলায় বলা হয়, শতভাগ মার্জিনে ম্যাশিনারি আমদানির জন্য প্যারাগন নিট কম্পোজিটের নামে আসামিরা ২০১১ সালের ২৩ জানুয়ারি এবং ২০১২ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি দু’টি এলসির বিপরীতে সোনালী ব্যাংক শেরাটন হোটেল (বর্তমানে রূপসী বাংলা হোটেল) শাখা থেকে ২ কোটি ২২ লাখ ৭৮ হাজার ৬১০ টাকা গ্রহণ করে। ওই টাকা তারা আত্মসাৎ করেছেন।
ওই অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাত ২০১৩ সালের ২৮ মে উল্লেখিত আসামিরাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা হোটেল (সাবেক শেরাটন হোটেল) শাখা থেকে হলমার্ক ছাড়া আরও পাঁচটি প্রতিষ্ঠান একই কায়দায় ঋণ জালিয়াতির ঘটনা ঘটনায়। প্যারাগন নিট কম্পোজিট লিমিটেড সেই পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের একটি। সেই হিসেবে বলা যায়, সোনালী ব্যাংকের সবচেয়ে বড় ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় করা মামলাগুলোর মধ্যে এই প্রথম কোনো একটির রায় হলো।
Discussion about this post