প্রতি বছর বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বত এভারেস্ট জয় করতে দুঃসাহসী অভিযানে অংশ নেয় পৃথিবীর নামকরা সব পর্বতারোহী। এই কাজে সবাই যে সফল হয় এমন নয়। রবিবার পর্বতারোহণের সাথে যুক্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক সময়ে এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণ করতে গিয়ে তুষারের দাপটে ও উচ্চতার কারণে নিহত হয়েছেন ২ জন এবং অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ৩০ জন আরোহী।
বেশিরভাগ পর্বতারোহীই হয়তো চূড়ায় উঠতে গিয়ে নয়তো নামতে গিয়ে ফ্রস্টবাইটের শিকার হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলা জানিয়েছেন পর্বতারোহণ বিভাগের কর্মকর্তা জিনেন্দ্র শ্রেষ্ঠ। আবহাওয়া সুবিধাজনক থাকায় ১১ই মে থেকে নেপালের প্রায় ৪০০ আরোহী চূড়ায় পৌঁছাতে পেরেছিলেন কিন্তু উচ্চতা, প্রতিকূল আবহাওয়া যে কোন সময় মারাত্মক হয়ে দেখা দেয় এভারেস্টে।
তীব্র ঠাণ্ডায় অসুস্থ হয়ে পড়া আরোহীদের সাহায্য করার চেষ্টা করছে শেরোপা গাইডরা। অনেকেরই হাত পা অবশ হয়ে গেছে, আবার অনেকে তুষারের আঘাতে অন্ধ হয়ে পড়েছে। এই অভিযাত্রী দলের মধ্যে নেপাল, ভারত, নরওয়েসহ বিশ্বের অনেক দেশের নাগরিক রয়েছেন।
নিহত ২ জন এই একই অভিযাত্রী দলের সদস্য। তবে তাদের মৃতদেহ কখন নামিয়ে আনা হবে সেটা এখনো অনিশ্চিত। তাছাড়া পাহাড়ের ঢাল দিয়ে মৃতদেহ নামিয়ে আনার কাজটা অসম্ভব কঠিন। ঠাণ্ডায় জমে গিয়ে শরীর ভারী হয়ে যায় এবং এই কাজে কমপক্ষে ৮ জন শেরোপা গাইডের প্রয়োজন হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৫৩ সালে নিউজিল্যান্ডের এডমুন্ড হিলারি এবং শেরোপা তেনজিং প্রথম এভারেস্ট জয় করার পর বিশ্বের কয়েক হাজার মানুষ এখন পর্যন্ত চূড়ায় উঠতে পেরেছে, কিন্তু সেইসাথে প্রায় ২৫০ জন মানুষ মারা গেছে এখন পর্যন্ত। ২০১৪ সালে তুষারধসে ১৬ জন শেরোপা গাইড মারা যাওয়ার পরেও পর্বতাহরণে ভাটা পড়েছিল।
Discussion about this post