পুলিশ দম্পতি মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী হত্যা মামলায় তার একমাত্র মেয়ে ঐশী রহমানের বিরুদ্ধে বিচারিক আদালতের দেয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিষয়ে ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি হাইকোর্টে শুরু হয়েছে।
আজ রোববার (১২ মার্চ) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চে এই মামলার শুনানি শুরু হয়। প্রথম দিনের শুনানি শেষে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামীকাল সোমবার পর্যন্ত মুলতবি করেন।
আদালতে পেপারবুক থেকে উপস্থান করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জহিরুল হক জহির ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আতিকুল হক সেলিম। ঐশী রহমানের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।
২০১৫ সালের ১৯ নভেম্বর ঐশীর ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে এসে পৌঁছে। পাশাপাশি মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করেন ঐশী রহমান।
২০১৫ সালের ১৫ নভেম্বর ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহমেদ পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানকে হত্যার দায়ে তাদের মেয়ে ঐশী রহমানকে দুইবার মৃত্যুদণ্ড দেন। রায়ে প্রত্যেক মৃত্যুদণ্ডের সঙ্গে ২০ হাজার টাকা করে মোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে দুই বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়। তবে একটি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার পর অন্যটি সরাসরি বাতিল হয়ে যাবে। একই সঙ্গে ঐশীর বন্ধু মিজানুর রহমান রনিকে দুই বছর কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। মামলার অপর আসামি আসাদুজ্জামান জনিকে খালাস দেন আদালত।
২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর মালিবাগের চামেলীবাগের বাসা থেকে পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পরের দিন ১৭ আগস্ট নিহত মাহফুজুর রহমানের ছোট ভাই মো. মশিউর রহমান রুবেল পল্টন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার দিন বিকালে পল্টন থানায় আত্মসমর্পণ করেন ওই দম্পতির মেয়ে ঐশী রহমান। ২০১৪ সালের ৯ মার্চ ঐশীকে প্রধান আসামি করে তিনজনের বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক আবুল খায়ের। এ মামলায় ৩৭ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।
Discussion about this post