মা স্বপ্না রহমান ও বাবা মাহফুজুর রহমান হত্যা মামলায় তাদের মেয়ে ঐশী রহমানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেছে ট্রাইব্যুনাল। ওই তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পুলিশ পরিদর্শক আবুয়াল খায়ের মাতুব্বর মঙ্গলবার ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য প্রদান করেন। বিচারক সাঈদ আহমেদ এদিন এ সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এরপর মামলাটির প্রধান আসামি ঐশী রহমানের পক্ষে আইনজীবী ফারুক আহমেদ এবং মাহবুবুর রহমান রানা এ সাক্ষীকে আংশিক জেরা করে সময় প্রার্থনা করেন। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে বুধবার ১১টা পর্যন্ত সাক্ষ্য গ্রহণ মুলতবি করেন। ওই আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউপর (এসপিপি) মাহবুবুর রহমান জানান, মামলাটির ৫৭ জন সাক্ষীর মধ্যে এর আগে ৩৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল। আবুয়াল খায়ের ৩৭তম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দিচ্ছেন।
তিনি আরও জানান, মামলাটিতে তারা আরও দুজন পাবলিক সাক্ষী, একজন ম্যাজিস্ট্রেট এবং প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ করাবেন। মামলাটির অপর দু আসামি হলেন, ঐশীর বন্ধু আসাদুজ্জামান জনি ও আসাদুজ্জামান জনি। মামলাটির অপর আসামি গৃহকর্মী খাদিজা আক্তার সুমি। নাবালক হওয়ায় অন্য আদালতে তার বিচার চলছে। মামমলাটিতে খাদিজা আক্তার সুমি ও রনি জামিনে রয়েছে।
মামলাটিতে ২০১৪ সালের ৯ মার্চ ডিবির ইন্সপেক্টর মো. আবুয়াল খায়ের মাতুব্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর মালিবাগের চামেলীবাগে নিজেদের বাসা থেকে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (পলিটিক্যাল শাখা) ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর পর দিন তাদের মেয়ে ঐশী রহমান রমনা থানায় নিজে আত্মসমর্পণ করেন।
Discussion about this post