নিজস্ব প্রতিবেদক: টেকনাফ থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে তিন কোটি ৯৫ লাখ পাঁচ হাজার ৬৩৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
তাদের বিরুদ্ধে আসা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করেন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজউদদ্দিন। তার অনুসন্ধানের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন টেকনাফ থানার সাবেক ওসি ও তার স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে গতকাল রবিবার মামলা দায়ের করা হয়।
আসামিরা অসৎ উদ্দেশে একে অপরের সহযোগিতায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুদকে দাখিলকৃত সম্পদের বিবরণীতে ১৩ লাখ ১৩ হাজার ১৭৫ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপনপূর্বক মিথ্যা তথ্য প্রদান এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত তিন কোটি ৯৫ লাখ পাঁচ হাজার ৬৩৫ টাকার সম্পদ অর্জনে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর সম্পৃক্ত অপরাধ ‘ঘুষ ও দুর্নীতির’ মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণভাবে অর্জনপূর্বক উক্ত অবৈধ সম্পদ স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রূপান্তর করে ভোগদখলে রাখার অপরাধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ২৬(২) ধারা, ২৭ (১) ধারা, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪ ( ২) ধারা, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২)ধারাসহ দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এ মামলাটি দায়ের করা হয় বলে দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য গতকাল জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান পুলিশের গুলিতে নিহত হন। এ ঘটনায় টেকনাফ থানার এ ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়; বর্তমানে তিনি রিমান্ডে রয়েছেন।
Discussion about this post