ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় আসামি ধরতে গিয়ে ছুরির আঘাতে আহত হয়েছেন একজন কনস্টেবল। মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে বাঞ্ছারামপুর আলিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। ওই কনস্টেবলকে ঢাকার বক্ষব্যাধি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহত কনস্টেবলের নাম মো. সাদ্দাম হোসেন (২৫)। তিনি বাঞ্ছারামপুর থানায় কর্মরত। ওই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অংশু কুমার দেব বলেন, চুরির মামলার আসামি জগন্নাথপুর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে সুজন মিয়াকে ধরতে গেলে কনস্টেবলকে ছুরিকাঘাত করে সুজন পালিয়ে যান। সুজনের বিরুদ্ধে চুরি-ডাকাতি, মাদক ব্যবসাসহ অসংখ্য অভিযোগ ও মামলা রয়েছে। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
বাঞ্ছারামপুর থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাঞ্ছারামপুর আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. রুহুল আমিন এর বাসায় গত শুক্রবার রাতে চুরির ঘটনা ঘটে। পরের দিন শনিবার অধ্যক্ষ বাঞ্ছারামপুর থানায় মামলা করেন। তাতে সুজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে উল্লেখ করা হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শাহ আলমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ মাদ্রাসা এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় কনস্টেবল সাদ্দাম আসামি সুজনকে জাপটে ধরেন। সুজন তাঁর সঙ্গে থাকা ছোরা দিয়ে কনস্টেবল সাদ্দামের বুকে আঘাত করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। সুজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পরে সহকর্মীরা সাদ্দামকে উদ্ধার করে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সাদ্দামের অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকেরা সাদ্দামকে ঢাকার বক্ষব্যাধি হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেয়।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শরিফুল ইসলাম বলেন, কনস্টেবল সাদ্দামের বুকের আঘাত অত্যন্ত গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য সাদ্দামকে ঢাকা বক্ষব্যাধি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
Discussion about this post