দেশে মাদকের ছড়াছড়ি। গাঁজা থেকে শুরু করে ইয়াবা ট্যাবলেট, হেরোইন এবং ফেনসিডিলের অবৈধ অনুপ্রবেশ দেশের তরুণ ও যুব সমাজের ধ্বংস করছে। এই শঙ্কার মধ্যে মাদক নিয়ন্ত্রণে আইন-শৃঙ্খলার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্ট।আদালত বলেন, ‘টেকনাফ হয়ে কক্সবাজার থেকে আসতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চারবার তল্লাশি করে। চারবার চেক করার পরও কাদের গাড়িতে করে ইয়াবা আসে? নাফ নদীর ৭৬ মাইল সীমান্তজুড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অনেক তৎপর। তারপরও অবাধে ইয়াবা আসছে। এটা খুবই দুঃখজনক। শুধু ওখানেই না, সারাদেশে তা ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে গোটা জাতিই আজ আক্রান্ত।’
ইয়াবাসহ সব ধরনের মাদকদ্রব্যের অবৈধ প্রবেশ, বিপণন, পরিবহন ও অবৈধ সেবনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সব জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারকে (এসপি) পদক্ষেপ নিতে স্বরাষ্ট্র সচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত । হাইকোর্টের বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। ইয়াবাসহ মাদকদ্রব্য নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে স্বপ্রণোদিত হয়ে এই আদেশ দেন হাইকোর্ট।
এ সময় আদালত বলেন, সারা দেশের যে হারে মাদক বাড়ছে তাতে আইন শৃঙ্খলার ব্যর্থতা রয়েছে। বিশেষ করে ইয়াবা ও ফেনসিডিলের অবৈধ প্রবেশ নিয়ন্ত্রণহীন। তাই দেশের দুটো এলাকা কক্সবাজার ও বান্দরবান এলাকাকে মাদকরোধ, নিয়ন্ত্রণ এবং অনুসন্ধানের বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।
Discussion about this post