কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রের শিশুদের আদালতের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হাজিরা নিশ্চিত করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে মামলা নিস্পত্তি করা যায় বলে জানিয়েছেন, জাতীয় মানবাধিকারের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক। আগামী ছয় মাসের মধ্যে এই ভিডিও কনফারেন্স পদ্ধতি চালু করা হবে বলেও জানান তিনি।
আজ মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে গাজীপুরের টঙ্গীতে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র (বালক) পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় মানবাধিকারের চেয়ারম্যান শিশুদের বিচার শিশু আদালতে করা, শিশুদের চার্জশিটও আলাদা ও দ্রুততম সময়ে করা এবং থানায় একজন করে শিশুবিষয়ক কর্মকর্তা রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি তিনি শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রগুলোতে খেলাধুলার ব্যবস্থা, কাউন্সেলিং ও সার্বক্ষণিক চিকিৎসক রাখার ওপরও গুরুত্ব দেন।
এসব কেন্দ্রে থাকা শিশুদের শিক্ষা এইচএসসি পর্যন্ত করার ওপর গুরুত্ব দিয়ে কাজী রিয়াজুল হক বলেন, এসব কেন্দ্রে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করানো হয়। ‘আমরা মনে করি, এই লেখাপড়া এইচএসসি পর্যন্ত যাওয়া উচিত। কারণ, ১৮ বছর পর্যন্ত শিশু। এ বয়সে মানুষ এইচএসসি পাস করে। এখানে যারা আছে, তাদের যদি কাজের মধ্যে রাখতে পারি, তবে মা-বাবার অভাব কম বোধ করবে। তাদের জন্য সময়োপযোগী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। এতে যখন তার মামলা নিষ্পত্তি হবে, তখন সে একজন মানুষ হিসেবে এখান থেকে বের হবে। সে দেশের সম্পদ হবে। বিদেশেও কাজ করতে পারবে।’
বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইমান আলী ও মানবাধিকার কমিশনের চেয়াম্যান কাজী রিয়াজুল হক সকালে টঙ্গী শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পৌঁছালে ফুলদিয়ে তাদের অভ্যর্থনা জানানো হয়। পরে তারা শিশুদের বন্দি নিবাস পরিদর্শন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এসএম আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সাখাওয়াত হোসেন, সমাজ সেবা বিভাগের উপ-পরিচালক শংকর শরণ শাহা, টঙ্গী শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের (বালক) তত্ত্বাবধায়ক মো. শাহজাহান প্রমুখ।
Discussion about this post