কোহিনুর কেমিক্যালের আইনজীবী পলাশ কুমার রায়কে ৩৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে রাজধানী থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-২)। অথচ তাকে গুম করা হয়েছে বলে কয়েকদিন আগেই কোহিনুর কেমিক্যালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন তার মা মীরা রানী রায়।
শুক্রবার দুপুরে র্যাব-২ এর এএসপি মো. খালিদ বোরহান জানান, তেজগাঁও এলাকা থেকে একটি কোম্পানির ৩৫ টাকা আত্মসাত করে স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে চলে যায় অ্যাডভোকেট পলাশ কুমরা রায়। পরে আজ সকালে তাকে তেজগাঁও থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিকেল ৪টায় সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান র্যাব-২ এর এএসপি বোরহান।
এদিকে পলাশ কুমার রায়কে ফিরে পেতে তার মা মীরা রানী গত ৫ এপ্রিল ঢাকার জজকোর্টস্থ কোর্ট রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে এক সংবাদ সম্মেলন করেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি ছেলেকে ফিরে পেতে কোহিনুর কেমিক্যালের এমডির কাছে আকুতি জানান। মীরা রানী পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান।
ওই সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে ৩০ মার্চের পর থেকে কোথায় আছে, কেমন আছে, বেঁচে আছে নাকি তাকে মেরে ফেলা হয়েছে- তা আমি জানি না। তবে যেকোনো কিছুর বিনিময়ে ছেলেকে ফেরত চাই।’
কোহিনুর কেমিক্যালের এমডিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেছিলেন, ‘যদি আমার ছেলে কোনো অন্যায় করে থাকে তবে আইন অনুযায়ী তার বিচার করা হোক।’ এরপর কান্নায় তার কণ্ঠ রূদ্ধ হয়ে আসায় তিনি আর কোনো কথা বলতে পারেননি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত পলাশের সহকর্মীরা নিখোঁজ পলাশকে একজন সৎ ও নিবেদিত আইনজীবী হিসেবে উল্লেখ করে তাকে এভাবে গুম করে ফেলায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তারা পুলিশের নিষ্ক্রিয় মনোভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং দ্রুত ওই আইনজীবীর উদ্ধার কামনা করে বলেন। অন্যথায় দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।
উল্লেখ্য, গত ৪ এপ্রিল ঢাকার সিএমএম আদালতে কোহিনুর কেমিক্যাল কোম্পানির সাবেক জুনিয়র এক্সিকিউটিভ অ্যাডভোকেট পলাশ কুমার রায়কে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগে মামলা করেন মীনা রানী। এতে আসামি করা হয় কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. রেজাউল করিম ও প্রতিষ্ঠানটির আইন কর্মকর্তা অ্যাডভোকেট আরিফুজ্জামানকে।
Discussion about this post