সৌদি দূতাবাস কর্মকর্তা খালাফ আল আলী হত্যা মামলার আপিলের রায় আগামীকাল বুধবার (১ নভেম্বর)। আজ (৩১ অক্টোবর, মঙ্গলবার) শুনানি শেষে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন।
আজ (মঙ্গলবার) আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং অপরপক্ষে ছিলেন আইনজীবী শিকদার মকবুল হোসন।
২০১২ সালের ৫ মার্চ রাত ১টার দিকে গুলশানের কূটনৈতিক এলাকার ১২০ নম্বর সড়কের ১৯/বি নম্বর বাসার সামনে গুলিবিদ্ধ হন খালাফ আল আলী (৪৫)। পরে ৬ মার্চ ভোরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
ওই বছরের ৪ জুন দক্ষিণখান থানার গাওয়াইর এলাকা থেকে সাইফুল ইসলাম মামুন, আকবর আলী লালু ওরফে রনি ও আল আমিন নামে তিন জনকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে কালো রঙের একটি বিদেশি পয়েন্ট ২২ বোরের রিভলবার জব্দ করা হয়। অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে ওইদিনই তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা দায়ের করা হয়।
পরে আসামি মামুন ও আল আমিন আদালতে স্বীকার করেন যে, ২০১২ সালের ৫ মার্চ রাতে ছিনতাই করতে বাধা দেওয়ায়, তারা খালাফ আল আলীকে ওই অস্ত্রটি দিয়ে গুলি ও হত্যা করে। পরে আসামি মামুন, আল আমীন, আকবর আলী লালু ওরফে রনি ওরফিকুল ইসলাম খোকনকে খালাফ হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখায় (শ্যোন অ্যারেস্ট) পুলিশ।
২০১২ সালের ৩১ অক্টোবর ওই চারজনসহ পলাতক সেলিম চৌধুরী ওরফে সেলিম আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করে এ মামলার বিচার শুরু করেন ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোতাহার হোসেন। একই বছরের ৩০ ডিসেম্বর খালাফ আল আলীকে হত্যার দায়ে ৫ আসামির সবাইকে ফাঁসির আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স ও জেল আপিলের শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ১৮ নভেম্বর আসামি সাইফুলকে বিচারিক আদালতের দেয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত অন্য তিনজনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং পলাতক একজনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
আল আমীন, আকবর আলী লালু ওরফে রনি ও রফিকুল ইসলাম খোকনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং পলাতক সেলিম চৌধুরী ওরফে সেলিম আহমেদকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
পরে হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেন রাষ্ট্রপক্ষ। ২০১৪ সালের ২৩ জুলাই এ আপিল মঞ্জুর করেন আপিল বিভাগ।
Discussion about this post