এর আগে গত ২৫ মে এ দুই মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে এসে খালেদা জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলায় বাদীর দেওয়া সাক্ষ্য বাতিলের আবেদন করেছিলেন।
বিচারক আবু আহমেদ জমাদার তা নাকচ করে দিলে খালেদার আইনজীবীরা হাই কোর্টে যান।
এ বিষয়টি জজ আদালতে তুলে ধরে খালেদার আইনজীবীরা এদিন এতিমখানা দুর্নীতি মামলার শুনানি মুলতুবির আবেদন করেন।
খালেদার পক্ষে শুনানি করেন খন্দকার মাহবুব হোসেন, মাহবুবউদ্দিন খোকন ও অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া। দুদকের পক্ষে ছিলেন মোশাররফ হোসেন কাজল।
শুনানি মুলতুবির আবেদন শুনে বিচারক খালেদার আইনজীবীদের জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বাদীর জেরা শুরু করতে বলেন।
এ সময় খালেদার আইনজীবীরা প্রস্তুতির অভাবের কথা বলে জেরা এড়ানোর চেষ্টা করেন।
পরে আদালতের নির্দেশে খন্দকার মাহবুব হোসেন এ মামলার বাদী দুদকের উপ-পরিচালক হারুন অর রশিদকে জেরা শুরু করেন।
আংশিক জেরা শেষে বিচারক দুই মামলার শুনানির জন্য ২৩ জুলাই দিন ঠিক করে দেন।
২০১১ সালের ৮ অগাস্ট জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন। পরের বছর ১৬ জানুয়ারি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ চার জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
তেজগাঁও থানার এ মামলায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ আনা হয়েছে আসামিদের বিরুদ্ধে।
আর জিয়া এতিমখানা ট্রাস্টে অনিয়মের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় অন্য মামলাটি দায়ের করে দুদক। এতিমদের সহায়তার জন্য একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয় এ মামলায়।
২০১০ সালের ৫ অগাস্ট খালেদা জিয়া, তার ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেন হারুনুর রশিদ।
গতবছর ১৯ মার্চ বিএনপি চেয়ারপারসনের উপস্থিতিতে দুই মামলায় অভিযোগ গঠনের পর তার বৈধতা ও অভিযোগ গঠনকারী বিচারকের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। তবে তার আবেদনগুলো আপিলেও খারিজ হয়ে যায়।
Discussion about this post