বোমা মেরে ঝালকাঠিতে বিচারক হত্যার ঘটনায় করা মামলায় জেএমবি নেতা আসাদুল ইসলাম ওরফে আরিফের ফাঁসি কার্যকর হবে রোববার (১৬ অক্টোবর)।
ওই দিন রাত সাড়ে ১০টায় খুলনা জেলা কারাগারে তার ফাঁসি কার্যকর করা হবে। আসাদুল ইসলাম আরিফ ২০০৮ সাল থেকে খুলনা জেলা কারাগারে রয়েছেন।
খুলনা জেলা প্রশাসকের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. নূর-ই-আলম শনিবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ৯টা ১১ মিনিটে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, জেএমবি নেতা আসাদুলের ফাঁসি কার্যকরের সব ধরনের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর ঝালকাঠি জেলার সিনিয়র সহকারী জজ সোহেল আহম্মেদ ও জগন্নাথ পাঁড়ের গাড়িতে বোমা হামলা চালিয়ে তাদের হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় বোমা হামলাকারী ইফতেখার হোসেন মামুন, জেলা জজ আদালতের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী আবদুল মান্নান ও দুধ বিক্রেতা বাদশা মিয়া আহত হন। ২০০৬ সালের ২৯ মে এ হত্যা মামলার রায়ে ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রেজা তারিক আহম্মেদ সাত জনের ফাঁসির আদেশ দেন। ইতোমধ্যে ছয়জনের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে।
যাদের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে তারা হলেন জেএমবির শীর্ষ নেতা শায়খ আবদুর রহমান, সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলাভাই, শায়খ আব্দুর রহমানের ভাই আতাউর রহমান সানি, জামাতা আবদুল আউয়াল, ইফতেখার হোসেন মামুন, খালেদ সাইফুল্লাহ ওরফে ফারুক। ২০০৭ সালের ২৯ মার্চ শীর্ষ এ ছয় জেএমবির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়। ২০০৭ সালের ৪ মার্চ রাষ্ট্রপতি ছয় জঙ্গির প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করে দিলে একই বছরের ২৯ মার্চ রাতে তাদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
একই মামলার রায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আরেক জেএমবি নেতা আরিফ ২০০৭ সালের ১০ জুলাই ময়মনসিংহ থেকে গ্রেফতার হন। এরপর আপিল করেন আরিফ। ২৮ আগস্ট রোববার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ জেএমবি নেতা আসাদুল ইসলাম ওরফে আরিফের রিভিউ আবেদন খারিজ করে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। যা কার্যকর হবে রোববার।
এদিকে, আসাদুলের ফাঁসির রায় কার্যকর উপলক্ষে খুলনা জেলা কারাগারের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে।
Discussion about this post