বিডি ল নিউজঃ গোপনাঙ্গের চুল পরীক্ষার মাধ্যমে ধর্ষকদের ধরা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।নারী ও পুরুষের গোপনাঙ্গের চুলে বসবাস করা ব্যকটেরিয়ার মধ্যে পার্থক্য আছে যা পরীক্ষার মাধ্যমে সহজেই বুঝতে পারবেন বিশেষজ্ঞরা। তাই ধর্ষণের প্রমাণ নষ্ট করতে কনডম ব্যবহার করলেও সহজেই ধর্ষকে শনাক্ত করা যাবে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিপেনডেন্ট এই খবর প্রকাশ করেছে।
অষ্ট্রেলিয়ার মারডক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সিলভানা ট্রিডিকি বলেন, ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে ধর্ষককে চিহ্নিত করা সম্ভব হয় বলে এখন বেশিরভাগ ধর্ষকই নিজেকে বাঁচাতে ধর্ষণের সময় কনডম ব্যবহার করে। কিন্তু যৌনমিলনের সময় দুজনের গোপনাঙ্গের চুলের ব্যাকটেরিয়াগুলো বদল হয় ফলে ওই চুল পরীক্ষার মাধ্যমে ধর্ষককে চিহ্নিত করা সম্ভব।
সাত নারী পুরুষের উপর পরীক্ষার পর গোপনাঙ্গের চুলে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে পুরুষের ক্ষেত্রে ৭৩ ধরণের এবং নারীদের ক্ষেত্রে ৭৬ ধরনের ভিন্নতা পেয়েছেন গবেষকরা। এদের মধ্যে একজোড়া প্রেমিক প্রেমিকা ছিল যারা পরীক্ষার ১৮ ঘন্টা আগে যৌন মিলন করে এবং তাদের গোপনাঙ্গের চুলের ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে সবচাইতে বেশি মিল ছিল এবং মিলনের সময় তাদের ব্যকটেরিয়া বদলও ধরা পরেছে এই পরীক্ষায়।
Discussion about this post