ঠিক তিন সপ্তাহ আগে ২৯ জুন, সোমবার এক সরকারি আদেশে বন্ধ হয়ে যাওয়া ব্যাংকগুলো আরেক সোমবারে স্বাভাবিক লেনদেন শুরু করেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
কঠোর ব্যয়সংকোচনের শর্তে করা সংস্কার চুক্তির বিনিময়ে ঋণদাতাদের কাছ থেকে তৃতীয় বেইল আউটের অর্থ পেয়েছে গ্রিস। এই চুক্তির মাধ্যমে ঋণ খেলাপি হওয়া এড়িয়ে ইউরো জোনে টিকে থাকতে পেরেছে গ্রিস।
ব্যাংক বন্ধ হওয়ার পর এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে পারতো গ্রিসবাসীরা। কিন্তু দিনে ৬০ ইউরোর বেশি তুলতে পারতো না। ব্যাংকগুলোতে তারল্য শূন্যতা ঠেকাতে এসব পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছিল কঠিন আর্থিক সংকটে পড়া গ্রিক সরকার।
এরপর থেকে গত তিন সপ্তাহজুড়ে এটিএম বুথগুলোর সামনে গ্রিকদের লম্বা লাইন পড়তো। কিন্তু সোমবার থেকে গ্রিকরা সপ্তাহে সর্বোচ্চ ৪২০ ইউরো একবারেই তুলতে পারবে বলে জানিয়েছে সরকার।
ব্যাংক বন্ধের সময়কালীন সাতদিনে একজন যে পরিমাণ টাকা তুলতে পারতো, এখন সপ্তাহের একদিনেই তা একবারে তুলতে পারার অনুমতি পাওয়ায় এটিএম বুথগুলোর সামনে প্রতিদিনের লম্বা লাইনগুলো আর দেখা যাবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে ব্যাংকগুলো খুলে দেওয়া হলেও আগের কিছু নির্দেশনা বলবৎ রাখা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে বিদেশে অর্থ পাঠানোর উপর নিষেধাজ্ঞা অন্যতম।
অপরদিকে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বৃদ্ধি পাওয়ায় দ্রব্যমূলের বাড়তি মূল্য পরিশোধ করতে হবে গ্রিকদের।
ব্যাংক খোলার মাধ্যমে গ্রিসের অর্থনীতি কিছুটি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যদিও অর্থনীতির দীর্ঘমেয়াদি সমস্যাগুলো রয়েই গেছে।
এদিকে সবচেয়ে বড় ঋণদাতা দেশে জার্মানি গ্রিসকে আরও ঋণছাড় দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছে।
Discussion about this post