জেলার বাহুবল উপজেলায় এক লাখ টাকা চাঁদা না দেয়ায় ফারুক মিয়া (৩৫) নামে এক কৃষককে পিটিয়ে রক্তাক্ত ও জখম করেছে বাহুবল থানা পুলিশ।
শনিবার দিবাগত রাতে বাহুবল উপজেলার করেরগাও গ্রাম এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। তিনি বাহুবল উপজেলার করেরগাও গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে তাকে বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসাতালে পাঠানো হয়।
স্থানীয়রা জানায়, আহত ফারুক মিয়ার সঙ্গে তার বড় ভাই আউয়াল মিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিন পারিবারিক বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে ধরে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হত। বেশ কিছুদিন পূর্বে তাদের মধ্যে ঝগড়ার সূত্র ধরে আউয়াল মিয়া বাহুবল থানায় একটি ৭ ধারা মামলা করেন। ওই মামলায় ফারুক মিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
গত শনিবার মধ্য রাতে বাহুবল থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) কফিল উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ফারুকের বাড়িতে হানা দেয়। এসময় ফারুককে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তর করে। পরে তাকে পথিমধ্যে নিয়ে ছেড়ে দেবে বলে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে ওই এএসআই। এসময় টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করায় তাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়।
এদিকে আজ রোববার ১২টায় ওই মামলায় তাকে আদালতে হাজির করা হলে ফারুক মিয়ার পক্ষের আইনজীবী তার জামিন আবেদন করলে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
আহত ফারুক মিয়ার বড় ভাই আউয়াল মিয়া জানায়, আমি পারিবারিক বিরোধের জেরধরে আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলাম। শনিবার রাতে পুলিশ আমার ভাইকে ঘর থেকে ধরে নিয়ে যায় এবং ছেড়ে দেবে বলে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দেয়ায় তাকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বাহুবল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা মনির হোসেন জানান, আমি বিষয়টি শুনেছি। যদি ঘটনার প্রমাণ পাওয়া যায় তবে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Discussion about this post