বরিশালে নবম শ্র্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের দায়ে সাইদুল সরদার নামে এক গৃহশিক্ষককে আলাদা ধারায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও পাঁচ বছরের দণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, অপহরণের দায়ে তাকে ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো দুই বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। আর ধর্ষণের দায়ে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।
আসামির অনুপস্থিতিতে বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শেখ আবু তাহের বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এ রায় দেন।
দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত সাইদুল সরদার বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার উত্তর গেরাকুল গ্রামের মৃত আব্দুর রহমান সরদারের ছেলে।
আদালতের বেঞ্চসহকারী আজিবর রহমান জানান, সাইদুল উপজেলার এক বাড়িতে থেকে নবম শ্রেণির এক ছাত্রিকে পড়াতেন। সেই সুযোগে বিভিন্নভাবে ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দেন সাইদুল। এতে রাজি না হওয়ায় ২০০৭ সালের ১৭ জুলাই মায়ের অসুস্থতার মিথ্যা সংবাদ দিয়ে মেয়েটিকে বিদ্যালয় থেকে নিয়ে আসেন তিনি। পরে তাকে বাসায় না নিয়ে অপহরণ করে সাইদুল নিজের মামার বাসায় নিয়ে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন।
অনেক খোঁজাখুঁজির পর ভিকটিমের পরিবার বিষয়টি জানতে পেরে সাইদুলের মামার কাছে মেয়েকে ফেরত চায়। এর তিনদিন পর ঢাকার সদরঘাট থেকে ওই স্কুলছাত্রী উদ্ধার হয়।
এই ঘটনায় ২১ জুলাই অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন স্কুলছাত্রীর চাচা।
একই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন গৌরনদী থানার সেই সময়ের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাজী বিধান আবীদ।
এর প্রেক্ষিতে মামলায় আটজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় এ রায় দেন আদালত।
Discussion about this post