গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে জলাতাংক রোগ নির্মূলের লক্ষে ব্যাপক হারে কুকুরের টিকাদান কর্মসূচি চলছে। সিটির ৫টি জোনের ৫৭টি ওয়ার্ডে একযোগে এই কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। দেশ হতে ২০২০ সালের মধ্যে জলাতাংক রোগ নির্মূলের লক্ষে মরণব্যাধি জলাতাংক রোগের আধুনিক চিকিৎসার পাশাপাশি ব্যাপক হারে কুকুরের টিকাদান কর্মচসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। তারই অংশ হিসাবে ০৮ই জুলাই বুধবার গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে এ কার্যক্রম শুরু হয়। ৬ দিন ব্যাপী কুকুরের টিকাদান কর্মসূচী ১৩ই জুলাই পর্যন্ত চলবে। এ সময় গাজীপুর সিটির সকল পোষা ও বে-ওয়ারিশ কুকুরকে জলাতাংক প্রতিরোধক টিকা প্রদান করা হবে। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে এ কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়ন করার লক্ষে সিটি কর্পোরেশনের ৫টি জোনে উপস্থিত রয়েছেন রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এম.ডি.ভি কনসালটেন্ট ও সুপারভাইজারগণ। এছাড়াও কুকুর ধরার জন্য বিভিন্ন জেলা হতে আগত দক্ষ কুকুর ধরার লোক এ কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেছে। সকাল ৫.৩০ ঘটিকা হতে কর্মসূচী শুরু হয়ে দুপুর ১২.০০ ঘটিকা পর্যন্ত সিটির পোষা ও বে-ওয়ারিশ কুকুরকে টিকাপ্রদান করে চিহ্নিত করণ লাল ফিতা বা লাল রঙ কুকুরের গায়ে ছিটিয়ে দেওয়া হয়। ৬ দিন ব্যাপী গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে ব্যাপক হারে কুকুরের টিকাদান কর্মসূচী সম্পর্কে এম.ডি.ভি কনসালটেন্ট ডাঃ সুদেব সরকার বলেন, “কুকুরের মাধ্যমে জলাতাংক রোগ ছড়ায়। আর কুকুরকে জলাতাংক মুক্ত করতে পারলে দেশ থেকে শতভাগ মরণব্যাধি এই রোগটিকে দূর করা সম্ভব। তাই বাংলাদেশ সরকার অধিকাংশ কুকুরকে টিকাদানের মাধ্যমে তাদের নিরাপদ করার কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সকল পোষা ও বে-ওয়ারিশ কুকুরকে জলাতাংক প্রতিরোধক টিকা প্রদান করা হচ্ছে”। এ কর্মসূচী বাস্তবায়নের সফলতা সম্পর্কে ১৬নং ওয়ার্ড সচিব মোঃ মাসুদ আলম বলেন, “ গাজীপুর সিটির অধিকাংশ জনগণ এ টিকাদান কর্মসূচী বাস্তবায়নের জন্য বেশ প্রশংসা করছে। কারণ পূর্বে নিঃসংশভাবে কুকুরকে হত্যা করা হত। যা তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য ছিল না”। এ কর্মসূচীর সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে মানুষ ও কুকুর উভয়ে জলাতাংকের ঝুকির হাত থেকে রক্ষা পাবে বলে মত প্রকাশ করেছেন কর্মসূচীর বাস্তবায়নকারী কর্মকর্তাগণ।
Discussion about this post