ভুয়া জামিননামা তৈরি করে বিভিন্ন মামলার আসামিদের জামিনে মুক্তির ব্যবস্থা করার অভিযোগে গ্রেপ্তার আইনজীবী মো. আবদুস সামাদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে ওই আইনজীবীর সহকারী মো. বনি আমিনকে তিনদিনের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা মহানগর হাকিম মো. দেলওয়ার হোসেন গতকাল রোববার এই আদেশ দেন বলে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা মো. শাফায়েত হোসেন জানিয়েছেন।
এর আগে, শনিবার আইনজীবী সামাদ ও তার সহকারী বনিকে গ্রেপ্তারের পর এই দুইজনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতির মামলা করেন গোয়েন্দা পুলিশের উপি-পরিদর্শক মো. মামুন হাসান।
এই মামলায় দুইজনকে আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করেন গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. আলমগীর হোসেন পাটোয়ারী।
আগামী ১৪ মে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ রাখা হয়েছে বলে জানান শাফায়েত।
ঢাকার বংশাল থানাধীন চানখারপুল এলাকা থেকে সামাদ ও বনিকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে রোববার দুপুরে পুলিশের এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের সংবাদ সম্মেলনে যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন জানান, তাদের কাছ থেকে সুপ্রিম কোর্ট, জেলা ও দায়রা জজ আদালত এবং বিভিন্ন জেলাখানার ডেপুটি জেলারদের ৮১টি সিল উদ্ধার করা হয়েছে।
এছাড়া ১৩টি মামলার আসামিদের নথিও তাদের কাছে পাওয়া গেছে, যেগুলোর মধ্যে অন্তত দুটি মামলায় কাগজপত্র জাল করে হাই কোর্টে উপস্থাপনের মাধ্যমে আসামিদের জামিন করানো হয়েছে বলে পুলিশের ভাষ্য।
Discussion about this post