নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ঢাকা বারের অতি পরিচিত একজন আইনজীবী এবং ইতিপূর্বে ঢাকা বারের নির্বাচিত কার্যনির্বাহী সদস্য জনাব এমারত হোসেন বাচ্চু করোনার এই মহামারীর সময় নিয়েছেন একটি ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ। আইনজীবী মহলে তিনি তার এই উদ্যোগের জন্য ব্যাপকহারে প্রশংসিত হয়েছেন।
করোনার বিপর্যয়ের সময় জুনিয়র আইনজীবীদের (যাদের প্রাকটিস ১ হতে ৫ বছর) পাশে থাকার অংশ হিসেবে ৩৫০ জন আইনজীবীকে ১০ হাজার করে দিবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন, পরবর্তীতে ঈদের আগে দিয়েছেনও প্রায় ২৭৮ জনকে, কয়েকজনের অবস্থা বিবেচনায় ২০/৩০ হাজারও দিয়েছেন! তার এই ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ এর কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার প্রশংসার ঢল নেমে এসেছে। তাকে নিয়ে কয়েকজন বিজ্ঞ আইনজীবীর স্ট্যাটাস তুলে ধরা হলোঃ
অ্যাড. নাজমুস সাকিব তুস্টি বলেন,
#একজন_আইনজীবী_কত_বড়_হৃদয়ের_অধিকারী_হতে_পারেতার_জ্বলন্ত_উদাহরন_আমাদের_সকলের_প্রিয়_Emarat_Hossain_বাচ্চু
#করোনার_বিপর্যয়ের সময় জুনিয়র আইনজীবীদের (প্রাকটিস ১ হতে ৫ বছর) পাশে থাকার জন্য পৈত্রিক সম্পত্তি স্বাভাবিক সময়ে যার বাজার মুল্য ছিল ৫০ লাখের উপরে সেটা ৩৫ লাখে বিক্রি করে দিলো
বাচ্চুর লক্ষ্য ছিলো ৩৫০ জন আইনজীবীকে ১০ হাজার করে দিবে, দিয়েছেও ২৭৮ জনকে কিন্তু কয়েকজনের অবস্থা বিবেচনায় ২০/৩০ হাজারও দিয়েছে
#পরিশেষে বলবো আল্লাহ বাচ্চুকে অনেক বড় করুক। মানুষের সেবা করার সুযোগ দিক। সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিকে উপযুক্ত স্হানে আল্লাহ আসীন করবেন সেই দোয়াই রইল।
অ্যাড. ইব্রাহিম হোসেন বলেন, অর্থ অনেকেরই থাকে!!
কিন্তু মানবিকতা সবার থাকে না।
এটা অবশ্যই ঐশ্বরিক!!
অবাক ও বিস্মিত হয়েছি ঢাকা বারের সাবেক এক নির্বাচিত ইসি মেম্বার ভাইয়ের মানবিক এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ জানতে পেরে!
তিনি সম্পুর্ন নিজ উদ্যোগে সৃষ্টি করেছেন এক অনোবদ্য কাব্য! করোনা কালীন এই মহা দুর্যোগে যখন আইন পেশায় সম্পৃক্ত জুনিয়র আইনজীবীরা দীর্ঘদিন কোর্ট বন্ধ থাকায় চরম অমানবিক পরিস্থিতি অতিক্রম করছে ঠিক সেই সময় সম্পুর্ন নিজ অর্থায়নে (জমি বিক্রি করে)একটি সহায়তা ফান্ড গঠন করে সমস্যাগ্রস্ত জুনিয়র আইনজীবীদের(দশ হাজার টাকা করে) বিনা সুদে ঋন (পরবর্তীতে ফেরতযোগ্য) প্রদান করছেন।তথ্যটি জানার পর অজানা এক শীতল অনুভুতি হৃদয়ে বয়ে গেলো। সমাজে অনেক বিত্তবান ব্যাক্তিত্ব রয়েছেন যাদের অনেক অলস অর্থ পড়ে রয়েছে কিন্তু মানবিকতার বিশুদ্ধ চর্চা তাদের মধ্যে নেই।আমাদের আইনজীবী পরিবারেও অনেক বিত্তশালী সিনিয়র আইনজীবী রয়েছেন যারা এই উদ্ভুত পরিস্থিতিতে জুনিয়র আইনজীবীদের পাশে মানবিকতার হাত বাড়িয়ে দিতে পারতেন,কিন্তু বিধিবাম!!!
শ্রদ্ধা ভাই,আপনার এই মহৎ উদ্যোগ কে।যদিও তথ্যটি প্রচার না করার বিশেষ অনুরোধ ছিলো কিন্তু অদৃশ্য তাড়নায় চেপে রাখতে পারলাম না বলে দু:খিত।নিশ্চয়ই ভালো কাজের দৃষ্টান্ত অন্যদেরকে উৎসাহিত করবে।
অ্যাড. রানা সরদার বলেন,
ঈদের দিনে ঢাকা বারের আইনজীবীদের একটা গল্প শুনাই।
ছবির লোকটা ঢাকা বারের অতি পরিচিত ইয়াং একজন আইনজীবী এবং সাবেক ইসি মেম্বার প্রিয় বাচ্চু ভাই।
করোনার বিপর্যয়ের সময় জুনিয়র আইনজীবীদের (প্রাকটিস ১ হতে ৫ বছর) পাশে থাকার জন্য পৈত্রিক সম্পত্তি স্বাভাবিক সময়ে যার বাজার মুল্য ছিল ৫০ লাখের উপরে সেটা ৩৫ লাখে বিক্রি করে দিলেন!
উনার লক্ষ্য ছিলো ৩৫০ জন আইনজীবীকে ১০ হাজার করে দিবেন, দিয়েছেনও বাট ২৭৮ জনকে, কয়েকজনের অবস্থা বিবেচনায় ২০/৩০ হাজারও দিয়েছেন!
জিজ্ঞেস করলাম, টাকা ফেরত দিবে না একবারেই দিয়েদিছেন? সাদাসিদে উত্তর, ধার হিসেবে দিয়েছি যেদিন মনে চায় দিবে!
সত্যিকারের মানবতাবাদী এবং দেশ প্রেমিক লোকগুলো একটু বেশি আবেগি হয়। মুজিবকোর্ট আপনাকেই মানায় ভাই। আশেপাশের অনেক চোর এটা পরিধান করে সেই ঘেন্নায় আমি পড়িনা!
আপনার মঙ্গল কামনা করি। আল্লাহ আপনার ভালো করুন। মানুষের সেবা করার মতো জায়গাতে আল্লাহ আপনাকে পৌঁছে দিবেন, আমিন!
সবাইকে ঈদ-উল-আযহার শুভেচ্ছা। ঈদ মোবারক!”
অ্যাড. মাহফুজুর রহমান ইলিয়াস বলেন, আমাদের আইন অঙ্গন পরিবারের প্রিয় ভাইদের মধ্যে শ্রদ্ধেয় এক বড় ভাই Emarat Hossain (বাচ্চু)। শুধু নামেই নই! বিভিন্ন গুণে গুণান্বিত আমার এই বড় ভাই, বর্তমান মহামারী করোনা কালীন সময়ে তরুন আইনজীবীদের কথা চিন্তা করে নিজ প্রোপার্টি বিক্রি করে সাময়িক আর্থিক সংকটাপন্ন কিছু তরুন আইনজীবীদের বিনা সুদে লোন দিয়ে যাচ্ছেন, ভাইয়ের এই মহতী উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। প্রাউড অফ ইউ (বিগ ব্রো)।
জনাব এমারত হোসেন বাচ্চু বিডিলনিউজ কে বলেন, আমার সাধ্যের মধ্যে যতটুকু পেরেছি চেষ্টা করেছি এই মহামারীর সময় সকলের পাশে দাঁড়ানোর। আল্লাহ তৌফিক দিলে ভবিষ্যতেও আমি আমাদের আইনজীবী পরিবারের জন্য কাজ করে যাব ইনশাআল্লাহ। আমি সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী।
Discussion about this post