একই সঙ্গে জামালপুর ও বগুড়ার মধ্যকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে চালু করা হচ্ছে ফেরি চলাচল ব্যবস্থা। সব মিলিয়ে জামালপুরকে অর্থনৈতিক দিক থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলায় পরিণত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (৭ আগস্ট) রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী ও গুণীজন সংবর্ধনাপূর্ব এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এসব কথা জানান। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে জামালপুর সমিতি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জামালপুরকে এক রাস্তার শহর বলে হেয় করা হলেও সেদিন অচিরেই শেষ হয়ে আসছে। এই শহরটি একদিকে মনোরম করে তোলার কাজ করা হচ্ছে। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার বহুমুখী উন্নয়নের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হচ্ছে।
মির্জা আজম বলেন, বাহাদুরাবাদ-বালাসী রুটে যে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে তা চালু করা হচ্ছে। এছাড়া যমুনা নদীর এই রুটে পানির নিচ দিয়ে একটি টানেল করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। যেখান দিয়ে ট্রেন, বাস-ট্রাক চলাচলের ব্যবস্থা থাকবে। আর এটিই হবে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার সর্ববৃহৎ উন্নয়ন। এ কাজটি বাস্তবায়ন হলে সারাদেশের সঙ্গে বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব সহজ হয়ে যাবে। সময় বেঁচে যাবে অন্তত চার ঘণ্টা।
তিনি জানান, বগুড়ার সঙ্গেও যোগাযোগ স্থাপনে যমুনার মাদারগঞ্জ-সারিয়াকান্দি রুটে চালু করা হচ্ছে ফেরি; যে ফেরিতে বাস ও ট্রাক পারাপারের ব্যবস্থাও থাকবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, অচিরেই টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে জামালপুরের শহীদ মিনার পর্যন্ত সড়ক উন্নয়নে সাতশ’ কোটি টাকার কাজ শুরু হবে। শহরের পরিবেশগত উন্নয়নে ইতোমধ্যেই বেশ কিছু পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
মির্জা আজম বলেন, বর্তমান সরকার উন্নয়নের যে পরিকল্পনা করছে, তাতে জামালপুর দেশের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় পরিণত হবে। কেননা, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নই শুধু নয়, এখানে স্থাপন করা হচ্ছে অর্থনৈতিক অঞ্চল। যেখানে এক লাখ লোকের কর্মসংস্থান করা হবে। এছাড়া, টেক্সটাইল কলেজ ও টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার কাজ চলছে। জামালপুর জেনারেল হাসপাতালটি দুই হাজার শয্যায় উন্নীত করা হবে।
জামালপুর সমিতির সভাপতি হাছান মাহামুদ রাজার সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে পরিকল্পনা বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাবেক মন্ত্রী এমএ সাত্তার, সাবেক এমপি রশিদুজ্জামান মিল্লাত, ডা. মুরাদ হাসান, আয়োজক সংগঠনের মহাসচিব শেখ মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে জামালপুরের নয় গুণীজনকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। শিক্ষাক্ষেত্রে অবদান রাখায় চার শিক্ষাবিদ এবং ব্যবসায় অবদান রাখায় পাঁচ বিশিষ্ট ব্যবসায়ীকে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তাদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন মির্জা আজম।
সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করে মোনালিসা শাহরীন সুষ্মিতা।
Discussion about this post