সাবেক ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি এবং তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেয়ার কারণ ব্যাখ্যা করার জন্য লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ মুর্শিদুল ইসলাম এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নুরুজ্জামানকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।
আগামী ১৩ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় তাদের আদালতে হাজির হয়ে ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। ওইদিন সাবেক ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন সালাহ উদ্দিন শরীফকেও আদালতে থাকতে বলা হয়েছে।
এক রিটের আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুল জারিসহ তলবের আদেশ দেন।
তাদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন ও আইনজীবী হাসান এম এস আজিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।
গতকাল (৪ ডিসেম্বর) সোমবার লক্ষ্মীপুর ডিসি কলোনির ভেতরে জেলা প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত কাকলি শিশু অঙ্গন বিদ্যালয়ে প্রবেশকে কেন্দ্র করে সালাহ উদ্দিন শরীফ ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ মুর্শিদুল ইসলামের মধ্যে কথা কাটাকাটি এবং এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়।
এ ঘটনায় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইএনও) মো. নূরুজ্জামান ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সালাহ উদ্দিন শরীফকে ‘অসদাচরণের দায়ে’ তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
সালাহ উদ্দিন শরীফকে মঙ্গলবার পাঁচ হাজার টাকার মুচলেকায় জামিন দেন লক্ষ্মীপুর জেলা হাকিম আদালতের বিচারক মীর শওকত হোসেন।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে লক্ষ্মীপুরের ঘটনার ওপর প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কামাল হোসেন নিয়াজী এবং আশফাকুর রহরমান মঙ্গলবার সকালে একটি রিট দায়ের করেন।
দুই কর্মকর্তাকে তলবের পাশাপাশি ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জেরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সাজা দেয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও দিয়েছেন আদালত। আইন সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সিভিল সার্জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
Discussion about this post