অর্থ পাচারের অভিযোগে ডেসটিনির বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা দুই মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ৮ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা বুধবার এ দিন ধার্য করেন।
বুধবার মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা অভিযোগ গঠন শুনানি করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য সময়ের আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ৮ জুলাই দিন ধার্য করেন।
এর আগে ২০১৪ সালের ৪ মে দুদকের উপ-পরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার গ্রাহকদের ৪ হাজার ১১৯ কোটি ২৪ লাখ ১ হাজার ১৮২ টাকা আত্মসাৎ করে পাচারের দায়ে মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) কোম্পানি ডেসটিনির ৫১ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
২০১২ সালের ৩১ জুলাই রাজধানীর কলাবাগান থানায় করা মামলায় ১২ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় ২ হাজার ২৫৭ কোটি ৭৮ লাখ ৭৭ হাজার ২২৭ টাকা পাচারের দায়ে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
এ মামলায় আসামিরা হলেন—ডিটিপিএল এবং ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রফিকুল আমীন, ডিটিপিএলের চেয়ারম্যান এবং ডেসটিনি গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ও সাবেক সেনাপ্রধান লে. জে. (অব.) এম হারুন-অর-রশিদ, ডেসটিনির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন, ডেসটিনি গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ গোফরানুল হক (ডেসটিনি-২০০০ লি. এর সাবেক পরিচালক ও ডিএমডি), ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ সাঈদ-উর-রহমান (ডেসটিনি-২০০০ লি. এর সাবেক পরিচালক), ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মেজবাহ উদ্দিন (সাবেক পরিচালক), ডেসটিনির পরিচালক সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, ইরফান আহমেদ সানী, মিসেস ফারহা দিবা, মিসেস জামশেদ আরা চৌধুরী, গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার শেখ তৈয়েবুর রহমান (সাবেক পরিচালক ডেসটিনি-২০০০ লি.), ভাইস প্রেসিডেন্ট নেপাল চন্দ্র বিশ্বাস (ডেসটিনি-২০০০ লি.) এর সাবেক পরিচালক), ডেসটিনি-২০০০ লি.-এর শেয়ারহোল্ডার ও পিএইডি এক্সিকিউটিভ জসিমউদ্দিন ভূঁইয়া, ডেসটিনি-২০০০ লি.-এর শেয়ারহোল্ডার ও ডায়মন্ড এক্সিকিউটিভ জাকির হোসেন, এস এম আহসানুল কবির, জুবায়ের সোহেল, মোসাদ্দেক আলী খান, আব্দুল মান্নান, ডেসটিনি-২০০০ লি.-এর শেয়ারহোল্ডার ও ক্রাউন এক্সিকিউটিভ আবুল কালাম আজাদ।
অন্যদিকে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই রাজধানীর কলাবাগান থানায় করা মামলায় ২২ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় ১ হাজার ৮৬১ কোটি ৪৫ লাখ ২৩ হাজার ৯৫৫ টাকা পাচারের দায়ে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।
মামলায় আসামিরা হলেন—ডেসটিনি-২০০০ লি.-এর এমডি ও ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লি.-এর সভাপতি মোহাম্মদ রফিকুল আমীন, ডেসটিনি গ্রুপের প্রেসিডেন্ট লে. জে. (অব.) এম হারুন-আর-রশিদ, চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন, সাবেক ডিএমডি মোহাম্মদ গোফরানুল হক, সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ সাঈদ-উর-রহমান, মো. মেজবাহ উদ্দিন (স্বপন), ডেসটিনি-২০০০ লি.-এর পরিচালক সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, ইরফান আহমেদ সানী, মিসেস ফারহা দিবা, মিসেস জামশেদ আরা চৌধুরী, সাবেক পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার শেখ তৈয়েবুর রহমান, নেপাল চন্দ্র বিশ্বাস, ডিএমসিএসএলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক আজাদ রহমান, সাবেক কোষাধ্যক্ষ মো. আকবর হোসেন সুমন, ডিএমসিএসএলের সাবেক সদস্য মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, সাইদুল ইসলাম খান (রুবেল), মো. সুমন আলী খান, মিসেস শিরীন আক্তার, রফিকুল ইসলাম সরকার, মো. মজিবুর রহমান, ডায়মন্ড বিল্ডার্স লি.-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও গ্রুপের পরিচালক লে. কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম, বেস্ট এভিয়েশন লি.-এর সাবেক চেয়ারম্যান ড. এম হায়দারুজ্জামান, উপদেষ্টা মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, সাবেক হেড অব ফিন্যান্স কাজী মো. ফজলুল করিম, সাবেক সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মোল্লা আল আমিন, ইসলাম ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনালের মালিক মো. শফিউল ইসলাম, এক্সিকিউটিভ মো. জিয়াউল হক মোল্লা, সাবেক ম্যানেজার সিকদার কবিরুল ইসলাম, এক্সিকিউটিভ মো. ফিরোজ আলম, মমতাজ এন্টারপ্রাইজ ও গোল্ডেন লাইন এ্যাসোসিয়েটসের মালিক ওমর ফারুক, ডেসটিনি গ্রুপের কন্ট্রোলার সুনীল বরণ কর্মকার, ডেসটিনি এয়ার সিস্টেমস লি.-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আকতার, ডেসটিনি নিহাজ জুট স্পিনার্স লি.-এর চেয়ারম্যান এস সহিদুজ্জামান চয়ন, ডায়মন্ড বিল্ডার্সের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান তপন, ডিএমসিএসএলের সহ-সভাপতি মেজর (অব.) সাকিবুজ্জামান খান, সম্পাদক এস এম আহসানুল কবির (বিপ্লব), সাবেক কোষাধ্যক্ষ এ এইচ এম আতাউর রহমান রেজা, সদস্য গোলাম কিবরিয়া (মিল্টন), মো. আতিকুর রহমান, খন্দকার বেনজীর আহমেদ, এ কে এম সফিউল্লাহ, শাহ আলম, মো. দেলোয়ার হোসেন, ডেসটিনি-২০০০ লি.-এর ডায়মন্ড এক্সিকিউটিভ মিসেস জেসমিন আক্তার (মিলন) এবং ডেসটিনি গ্রুপের এ্যাডভাইজার মো. শফিকুল হক।”দ্য রিপোর্ট
Discussion about this post