ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে কর্মরত অবস্থায় ৬ আনসার সদস্যের বিরুদ্ধে এক তরুণীকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তাদের ক্লোজ করে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিভাগীয় তদন্তের কথা বলে তাদের বিরুদ্ধে এখনও অন্য কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আনসারের প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) মো. জাহিদ। তিনি জানান,‘আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠায় জেলা আনসার কমান্ডার ছয়জনকে ক্লোজ করে নিয়ে গেছেন। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অভিযুক্ত আনসার সদস্যরা হলেন, এপিসি একরামুল, আমিনুল, আতিকুর, সিরাজ, বাবুল ও মিনহাজ।
জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার হওয়া মেয়েটি একজন মানসিক রোগী। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার হোমনায়।
বুধবার ঢামেকে ওই তরুণীর ভাই জানান, ‘আমার বোনটি মেধাবী ছিলো। নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে।এরপর মানসিক সমস্যার কারণে মাঝে মাঝে সে বাড়ি থেকে ৫/১০ দিনের জন্য নিখোঁজ থাকতো। ১০/১২ দিন আগে সে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। গতকাল ঢামেক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ফোন পেয়ে আজ ঢাকায় এসেছি।’
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ সূত্র জানায়, তরুণীটি তাদের জানিয়েছে গত ২৭ অক্টোবর রাতে বহির্বিভাগে দায়িত্বরত আনসারদের একজন তাকে হাসপাতালের একটি কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ৬ জন আনসার সদস্য পালাক্রমে ধর্ষণ করে তাড়িয়ে দেয়। পরে কামাল নামে এক ব্যক্তি ২৯ তারিখে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তাকে ওসিসির সংরক্ষিত শয্যায় পাঠানো হয়।
ওসিসির কো-অর্ডিনেটর ডা. বিলকিস বেগম বলেন, ‘মেয়েটির মানসিক সমস্যা আছে। মেয়েটির কাছে একটি ডায়রি আছে। সেখান থেকে নম্বর নিয়ে তার ভাইকে জানানো হয়। পরে বুধবার মেয়েটির ভাই ঢামেকে আসলে তার মাধ্যমে ওই তরুণীকে মানসিক বিভাগে পাঠানো হয়।’
Discussion about this post