কুমিল্লার ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনু হত্যা মামলার প্রথম ময়নাতদন্তে কিছুটা বিভ্রান্ত ও ভুল তথ্য ছিল বলে জানিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
রোববার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান।
তিনি বলেন, প্রথম ময়নাতদন্তে ভুল তথ্য থাকার কারণেই দীর্ঘসূত্রতা হয়েছিল। কিন্তু ডিএনএ পরীক্ষায় সিআইডি ধর্ষণের আলামত পেয়েছে। এতে তিনজনের জড়িত থাকার আলামত পাওয়া গেছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসংক্রান্ত মন্ত্রিসভার সভায় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক প্রমুখ।
প্রথম ময়নাতদন্তে চিকিৎসকেরা তনুকে ধর্ষণের কোনো আলামত পাননি। এ ছাড়া কোনো রাসায়নিক ক্রিয়ায় তনুর মৃত্যু হয়নি। ডিএনএ পরীক্ষা করে সিআইডি বলেছে, খুন হওয়ার আগে ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন তনু। দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন শিগগিরই দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
গত ২০ মার্চ রাতে সোহাগী জাহান তনুর লাশ ময়নামতি সেনানিবাস এলাকার একটি ঝোপে পাওয়া যায়। এ ঘটনায় তনুর বাবা ইয়ার হোসেন পরের দিন কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। প্রথমে কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক মো. সাইফুল ইসলাম এর তদন্ত করেন। পরে তদন্তভার দেওয়া হয় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে এম মনজুর আলমকে। ১ এপ্রিল তদন্ত দেওয়া হয় সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক গাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীমকে। এ ছাড়া তনুর লাশের প্রথম ময়নাতদন্ত হয় ২১ মার্চ। পরবর্তী সময়ে আদালতের নির্দেশনায় দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত হয় ৩০ মার্চ। এরপর ৪ এপ্রিল প্রথম ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন দেওয়া হয়। এতে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
Discussion about this post