অর্থপাচারের অভিযোগে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে দুদকের করা আপিলের পরবর্তী শুনানি আগামী ২৫ মে অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার (১৮ মে) তৃতীয় দিনের মতো শুনানি করে বিচারপতি এম.ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আজ আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন খুরশীদ আলম খান।
শুনানি শেষে আদালত থেকে বেরিয়ে আসার পথে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আইন অনুযায়ী ভিসা কার্ড ব্যবহার করে তারেক রহমান মানি লন্ডারিং অপরাধ করেছেন। কারণ আইনে বলা আছে, অবৈধ পন্থায় পাচারকৃত অর্থের সঙ্গে যেকোন পর্যায়ের সংশ্লিষ্টতা থাকলে তা মানি লন্ডারিং অপরাধ ধরা হয়।’
মামলায় তারেক রহমান পলাতক থাকায় তার পক্ষে কোনো আইনজীবী নিয়োগের সুযোগ নেই। তবে এই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামি গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম।
আংশিক শুনানি শেষে আদালত পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২৫ মে দিন ধার্য করে।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দিয়ে তার বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে অর্থপাচার মামলায় ৭ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালত।
রায়ে কারাদণ্ডের পাশাপাশি মামুনকে ৪০ কোটি টাকা জরিমানাও করা হয়। পাচার করা ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৬১৩ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দেন আদালত।
এ রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরের ৫ ডিসেম্বর আপিল করে দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি আপিল শুনানি গ্রহণ করে তারেক রহমানকে বিচারিক আদালতে আত্মসমপর্ণের আদেশ দেন হাইকোর্ট বেঞ্চ।
২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় এ মামলাটি করে দুদক। ২০১১ সালের ৮ আগস্ট এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন আদালত। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, টঙ্গীতে প্রস্তাবিত ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ পাইয়ে দেয়ার জন্য নির্মাণ কন্সট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের মালিক খাদিজা ইসলামের কাছ থেকে গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা নেন। সিঙ্গাপুরে এই টাকা লেনদেন হয়।
এরপর মামুন ওই অর্থ সিঙ্গাপুরের ক্যাপিটাল স্ট্রিটের সিটি ব্যাংক এনএতে তার একাউন্টে জমা করেন। এ টাকার মধ্যে তারেক রহমান ৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা খরচ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
Discussion about this post