বিডি ল নিউজঃ
দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২৯ রানে হারাল পাকিস্তান। পাকিস্তান ২২২ রান করলেও ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে জয়ের জন্য বৃষ্টি-বিঘ্নিত ম্যাচে প্রোটিয়াদের জয়ের লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ৪৭ ওভারে ২৩২ রান। কিন্তু অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে রান তাড়া করতে নেমে পরপর উইকেট হারিয়ে প্রথম থেকেই বিপাকে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। ব্যাটিং-বিপর্যয়ের মধ্যে কার্যত একা কুম্ভ হয়ে লড়াই করতে থাকেন অধিনায়ক এবি ডেভিলিয়ার্স।কিন্তু দলের ২০০ রানে আউট হন তিনি। তাঁর ব্যাটে ভর করেই ম্যাচে জয়ের স্বপ্ন দেখছিল প্রোটিয়ারা। পাকিস্তানের জয়ের পথে কাঁটা বিছিয়ে রেখেছিলেন ডেভিলিয়ার্স।চাপের মুখেও স্বভাবসিদ্ধভাবে ৫৮ বলে ৭৭ রান করেন তিনি। সোহেল খানের বলে তিনি ফিরে যেতেই পাকিস্তানের জয় কার্যত নিশ্চিত হয়ে যায় পাকিস্তানের। ২০২ রানে অল আউট হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। হাসিম আমলা করেন ৩৮ রান।
পাকিস্তানের পক্ষে ওয়াহাব রিয়াজ, রাহাত আলি এবং মহম্মদ ইরফান ৩ টি করে উইকেট পেয়েছেন। সোহেল খান পেয়েছেন ১ টি উইকেট।
এর আগে বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ২২২ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তানের ইনিংস। প্রোটিয়া পেসারদের সামলাতে হিমশিম খেতে হয় পাক ব্যাটিং অর্ডারকে। বৃষ্টি-বিঘ্নিত ইনিংসে ডেল স্টেইন, মর্নি মর্কেলদের দাপটে ৪৬.৪ ওভারে ২২২ রানে অল আউট হয়ে যায় পাকিস্তান। পাক ইনিংস চলাকালে দুবার বৃষ্টি নামে। ওভার সংখ্যা ৫০ থেকে কমে হয় ৪৭। অধিনায়ক মিসবা উল হকের ৫৬ রানের ইনিংসে ভর করে ২০০-র গণ্ডি পেরোতে হয় পাকিস্তানকে।ওপেনার সরফরাজ আহমেদ শুরুটা দুরন্ত করেছিলেন। তিনি ৪৯ রানে ফিরে গেলে মিসবা ছাড়া আর কোনও পাক ব্যাটসম্যান প্রোটিয়া আক্রমণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারেননি।ইউনিস খান ৬৮ বলে ৩৭ রান করে একটা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেছিলেন। শেষদিকে আফ্রিদি ১৫ বলে ২২ রান করেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে স্টেইন ৩০ রানে ৩ উইকেট, মর্কেল ২৫ রানে ২ উইকেট ও অ্যাবট ৪৫ রানে ২ উইকেট দখল করেন।’এবিপি আনন্দ
Discussion about this post